ইরান আবারও ইসরায়েলে হাইপারসোনিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে

ইসরায়েলের সামরিক আগ্রাসনের জবাবে এবার আরও শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে ইরান। চলমান সংঘাতের মধ্যেই রাতে তেলআবিব লক্ষ্য করে প্রথমবারের মতো হাইপারসোনিক ‘ফাত্তাহ-১’ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে দেশটির সামরিক বাহিনী। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরান আবারও ইসরায়েলের সামরিক স্থাপনার দিকে হাইপারসোনিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে জানানো হয়, “ফাত্তাহ ক্ষেপণাস্ত্রগুলো সফলভাবে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করতে পেরেছে।”
‘ফাত্তাহ’ হাইপারসোনিক ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রথমবার ২০২৩ সালে জনসমক্ষে আনা হয়। ক্ষেপণাস্ত্রটির নামকরণ করেছিলেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। এটি মূলত ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (IRGC) তত্ত্বাবধানে তৈরি।
২০২৪ সালের ১ অক্টোবর, ইরান একই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলে ছুড়েছিল বলে জানা যায়। সেই সময় তেহরানে এক বিশাল ব্যানারে হিব্রু ভাষায় লেখা হয়েছিল, “তেলআবিবে ৪০০ সেকেন্ড”, যা ইঙ্গিত করে এই ক্ষেপণাস্ত্রের প্রতিক্রিয়ার সময়কাল।
ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের ক্ষেপণাস্ত্রটিকে ‘ইসরায়েল-স্ট্রাইকার’ হিসেবে আখ্যায়িত করলেও, আন্তর্জাতিক সামরিক বিশ্লেষকরা এর প্রকৃত হাইপারসোনিক ক্ষমতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে, ফাত্তাহ-১ হয়তো হাইপারসোনিক গতির কাছাকাছি পৌঁছাতে পারে, তবে এর প্রযুক্তিগত দিক এখনো পরীক্ষাধীন।
উল্লেখ্য, গত ১৩ জুন শুক্রবার থেকে ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা ভয়াবহ সংঘাতে রূপ নিয়েছে। ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র এবং বিমান হামলায় উভয় পক্ষই মারাত্মক ক্ষতির শিকার হয়েছে। নিহত ও আহত হয়েছেন বহু সাধারণ মানুষ এবং সামরিক সদস্য।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই হাইপারসোনিক ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যবহার যুদ্ধকে আরও বিপজ্জনক ও জটিল করে তুলতে পারে।
(ঢাকাটাইমস/১৯ জুন/আরজেড)

মন্তব্য করুন