ইরানের অতর্কিত ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যকার চলমান সংঘাত সপ্তম দিনে গড়িয়েছে। পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে যখন ইরান আবারও ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থানে একযোগে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ফার্স ও তাসনিম জানিয়েছে, এই হামলাগুলো ছিল পূর্ব পরিকল্পিত এবং “প্রতিরোধমূলক প্রতিক্রিয়া” হিসেবে চালানো হয়েছে। খবর আল-জাজিরার।
ইসরায়েলের তেলআবিব ও জেরুজালেম শহরে একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ভোররাতে হঠাৎ করেই প্রচণ্ড শব্দে ঘুম ভেঙে যায় তাদের। বিস্ফোরণের পরপরই আকাশে ধোঁয়ার কুন্ডলী দেখা গেছে।
টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, অন্তত চারটি ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ও জনবহুল এলাকায় আঘাত হেনেছে। এর মধ্যে একটি সরাসরি আঘাত হানে দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর বিরশেভার সোরোকা মেডিকেল সেন্টারে। এতে হাসপাতালটির একটি ওয়ার্ড মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং বেশ কয়েকজন আহত হন।
ইসরায়েলের সেনাবাহিনী দাবি করেছে, কিছু ক্ষেপণাস্ত্র তাদের আয়রন ডোম প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় প্রতিহত করা গেলেও একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ভেদ করে ভেতরে ঢুকে পড়ে। রামাত গান, আশদোদ ও নেস জিয়োনা শহরেও হামলার খবর পাওয়া গেছে।
বিবিসির লাইভ আপডেটে বলা হয়েছে, রামাত গান এলাকায় বিস্ফোরণে একটি বাণিজ্যিক ভবন ও আশপাশের গাড়িগুলোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
আল-জাজিরা সর্বশেষ জানিয়েছে, এই হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। অনেকেই হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন, এর মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এই ঘটনার পর জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ জরুরি বৈঠকে বসার প্রস্তুতি নিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। অনেক বিশ্লেষক আশঙ্কা করছেন, এই হামলা-পাল্টা হামলা নতুন একটি পূর্ণমাত্রার যুদ্ধের দিকে গড়াতে পারে।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহ থেকে শুরু হওয়া এই সংঘাত ইতোমধ্যে বহু প্রাণহানি ও অবকাঠামোগত ক্ষতি ডেকে এনেছে। আন্তর্জাতিক মহল ইরান ও ইসরায়েল উভয়পক্ষকে সহিংসতা পরিহার করে শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানিয়ে যাচ্ছে।
(ঢাকাটাইমস/১৯ জুন/আরজেড)

মন্তব্য করুন