বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী জরিপ: খুলনা ও বরিশাল বিভাগে গুডবুকে যারা

আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে দেশের ৩০০ আসনে দলীয় প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। দেশব্যাপী বিএনপির করা জরিপ, দলটির বিশ্বস্ত সূত্র, জেলা বিএনপির শীর্ষনেতা এবং ঢাকা টাইমসের স্থানীয় প্রতিনিধিদের তথ্য সমন্বয়ে সারা দেশে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীদের একটি তালিকা তৈরি করেছে ঢাকা টাইমস।
ইতিমধ্যে প্রথম ধাপে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগ এবং দ্বিতীয় ধাপে সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
আজ প্রকাশ করা হলো বিএনপির জরিপে খুলনা ও বরিশাল বিভাগে গুডবুকে আছেন কারা। পরের ধাপে প্রকাশিত হবে চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা বিভাগের তালিকা।
খুলনা বিভাগ
মেহেরপুর-১ আসনে জেলার সাবেক সভাপতি মো. মাসুদ অরুণ, যুগ্ম আহ্বায়ক আলমগীর খান সাতু, জেলার সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, সদর বিএনপির সভাপতি ফয়েজ আহমেদ, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম।
মেহেরপুর-২ আসনে জেলা সভাপতি জাভেদ মাসুম মিল্টন, সাবেক এমপি আমজাদ হোসেন।
কুষ্টিয়া
কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনে জেলার সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রেজা আহমেদ বাচ্চু মোল্লা, যুবদলের ঢাকা মহানগর উত্তরের আহবায়ক শরিফ উদ্দিন জুয়েল, জেলা বিএনপির সদস্য হাজী আলতাব হোসেন, উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব শহিদ সরকার মঙ্গল।
কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য অ্যাডভোকেট রাগিব রউফ চৌধুরী, সাবেক এমপি অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম, জোটবদ্ধ নির্বাচন হলে এখানে জাপার একাংশের মহাসচিব ও সাবেক এমপি আহসান হাবীব লিংকন মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ২০১৮ সালেও তিনি এ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী ছিলেন।
কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনে বিএনপির স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন, জেলা আহবায়ক কুতুব উদ্দিন আহমেদ ও সদস্য সচিব জাকির হোসেন সরকার।
কুষ্টিয়া-৪ (কুমারখালী-খোকসা) আসনে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মেহেদী আহমেদ রুমী, জেলার সাবেক যুগ্ম সম্পাদক খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন, সাবেক পৌর মেয়র নুরুল ইসলাম আনসার, হাফেজ মঈনউদ্দিন এবং জেলার সাবেক সহসভাপতি গোলাম মোস্তফা।
চুয়াডাঙ্গা
চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে বিএনপির চেয়ারপার্সন উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, জেলা সাধারণ সম্পাদক শরিফুজ্জামান, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক খন্দকার আব্দুল জব্বার সোনা
চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় উপ-কোষাধ্যক্ষ মাহমুদ হাসান খান বাবু ও সাউথ বাংলা ব্যাংকের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মোখলেছুর রহমান টিপু।
সাতক্ষীরা
সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনে বিএনপির প্রকাশনা সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবিব, জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক আক্তারুল ইসলাম ও সাংবাদিক সাইদুর রহমান।
সাতক্ষীরা-২ (সদর) আসনে জেলা বিএনপির আহবায়ক রহমত উল্লাহ পলাশ, জেলার সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীম চেয়ারম্যান, যুগ্ম আহ্বায়ক তাসকিন আহমেদ এবং জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রউফ চেয়ারম্যান (পদ স্থগিত)।
সাতক্ষীরা-৩ আসনে (আশাশুনি-দেবহাটা-কালিগঞ্জের আংশিক) বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য ডা. শহিদুল আলম, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক তারিকুল হাসান ও এব নেতা ইঞ্জিনিয়ার আইয়ুব আলী
সাতক্ষীরা-৪ (শ্যামনগর-কালিগঞ্জের আংশিক) আসনে সাবেক এমপি কাজী আলাউদ্দিন, জেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক সৈয়দ ইফতেখার আলী ও জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মনির।
খুলনা জেলা
খুলনা-১ আসনে (দাকোপ-বটিয়াঘাটা) জেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক আলী এজাজ খান, বর্তমান আহবায়ক তৈয়বুর রহমান, পল্লী বিদ্যুতের জিএম জিয়াউর রহমান ও ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সহসভাপতি পার্থ দেব মন্ডল।
খুলনা-২ আসনে (সদর-সোনাডাঙ্গা) সাবেক এমপি নজরুল ইসলাম মঞ্জু, মহানগর বিএনপি সভাপতি শফিকুল আলম মনা ও সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন।
খুলনা-৩ আসনে (দৌলতপুর-খানজাহান আলী-খালিশপুর) বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল একক প্রার্থী
খুলনা-৪ আসনে (রূপসা-তেরখাদা-দিঘলিয়া) বিএনপির তথ্য সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল।
খুলনা-৫ আসনে (ডুমুরিয়া-ফুলতলা) সাবেক এমপি আলী আজগর লবী দলের শীর্ষ নেতৃত্বের অনুমোদন নিয়ে গণসংযোগ করছেন ও তিনিই হতে যাচ্ছেন ধানের শীষের প্রার্থী।
খুলনা-৬ আসনে (কয়রা-পাইকগাছা) জেলা বিএনপির আহবায়ক মনিরুজ্জামান মন্টু, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোমরেজুল ইসলাম, সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম কাগজী, বাসস চেয়ারম্যান আনোয়ার আলদীন, ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সহসভাপতি রফিকুল ইসলাম।
ঝিনাইদহ
ঝিনাইদহ-১ আসনে অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামানের মনোনয়ন অনেকটাই নিশ্চিত। তবে বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডুও শক্তিশালী প্রার্থী। ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদও দলের মনোনয়ন চাইবেন।
ঝিনাইদহ-২ আসনে (সদর) এম এ মজিদ, সাবেক এমপি মসিউরের ছেলে ইব্রাহিম বাবু। জোটবদ্ধ নির্বাচন হলে এ আসনে মনোনয়ন পেতে পারেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।
ঝিনাইদহ-৩ (কোটচাঁদপুর-মহেশপুর) বিএনপির সহ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আমিরুজ্জামান শিমুল, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল এবং কণ্ঠশিল্পী মনির খান।
ঝিনাইদহ-৪ (কালীগঞ্জ) আসনে স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, হামিদুর রহমান হামিদ (ছোট হামিদ) এবং প্রয়াত এমপি শহিদুজ্জামান বেল্টুর সহধর্মিণী মুর্শিদা জামান।
যশোর
যশোর-১ আসনে (শার্শা উপজেলা) বিএনপি কেন্দ্রীয় নেতা মফিকুল হাসান তৃপ্তি, উপজেলার বিএনপি'র সভাপতি হাসান জহির, উপজেলা বিএনপি'র সাবেক সভাপতি খাইরুজ্জামান মধু, যুবদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সহসভাপতি নুরুজ্জামান লিটন।
যশোর-২ আসনে (ঝিকরগাছা ও চৌগাছা উপজেলা) জেলা বিএনপির নেতা ও যশোর চেম্বার আব কমার্সের সভাপতি মিজানুর রহমান খান, ঝিকরগাছা থানা বিএনপির সভাপতি সাবিরা নাজমুল মুন্নী, চৌগাছা উপজেলার বিএনপির সাবেক সভাপতি জহুরুল ইসলাম, যশোর পৌরসভার সাবেক পৌর মেয়র মোহাম্মদ ইসহাক এবং উপজেলা সাধারণ সম্পাদক ইমরান হাসান সামাদ নিপুন।
যশোর-৩ আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত ও জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু।
যশোর-৪ আসনে (বাঘারপাড়া, অভয়নগর ও বসুন্দিয়া ইউনিয়ন) কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার টি এস আইয়ুব, অভয়নগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মতিউর রহমান ফারাজি এবং বাঘারপাড়া উপজেলার বিএনপির সাবেক সভাপতি মশিউর রহমান। জোটবদ্ধ নির্বাচন হলে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) সাবেক এমপি এম আমিনউদ্দিনের ছেলে এখানে মনোনয়ন বাগিয়ে নিতে পারেন ।
যশোর-৫ আসনে (মনিরামপুর উপজেলা) বিএনপির উপজেলার সভাপতি অ্যাডভোকেট শহীদ ইকবাল, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা মনির সিদ্দিকী বাচ্চু ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ মুসা।
যশোর-৬ আসনে (কেশবপুর উপজেলা) ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি রওনকূল ইসলাম শ্রাবণ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল হোসেন আজাদ ও বিএনপি কেন্দ্রীয় নেতা অমিলেন্দু দাস অপু।
বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী জরিপ: রংপুর ও রাজশাহী বিভাগে গুডবুকে যারা জানতে এখানে ক্লিক করুন
মাগুরা
মাগুরা-১ আসনে বিএনপির সহ-ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নেওয়াজ হালিমা আলী, জেলা বিএনপির আহবায়ক আলী আহমেদ, সদস্য সচিব মনোয়ার হোসেন খান, যুগ্ম আহ্বায়ক আহসান হাবীব কিশোর, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. বদরুল আলম এবং ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা আলমগীর হাসান সোহান।
মাগুরা-২ আসনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল (ইকোনো কামাল) এবং ঢাকা মহানগর যুবদল দক্ষিণের সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম নয়ন।
নড়াইল
নড়াইল-১ আসনে জেলা সভাপতি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম, লে. কর্নেল অব. সাজ্জাদ হোসেন, অধ্যাপক বি এম নাগিব হোসেন ও সাহারুজ্জামান মোর্তজা।
নড়াইল-২ আসনে শরীফ কাসাফ উদ্দৌলা, জেলা বিএনপির আহবায়ক মনিরুল ইসলাম এবং জেলার সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শাহরিয়ার রিজভী জর্জ। জোটবদ্ধ নির্বাচন হলে এ আসনে এনপিপি চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। ২০১৮ সালেও তিনি এ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী ছিলেন।
বাগেরহাট-১ আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য এস এম মুজিবুর রহমান, ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো: অহিদুজ্জামান, অ্যাডভোকেট ওয়াহিদুজ্জামান দিপু, জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ কামরুল ইসলাম গোরা, জেলা নেতা ইঞ্জিনিয়ার মো. শেখ মাসুদ রানা এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ শরিফুল ইসলাম কারিম। তবে জোটবদ্ধ নির্বাচনে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক এখানে মনোনয়ন বাগিয়ে নিতে পারেন।
বাগেরহাট-২ আসনে সাবেক এমপি এ এইচ এম সেলিম, বিএনপির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে নতুন করে যোগাযোগে থাকায় তিনিই সবার পছন্দের প্রার্থী। তবে তার ভাই জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালাম, বর্তমান আহবায়ক এ টি এম আকরাম হোসেন তালিম এবং জেলা নেতা শেখ মো. জাকির হোসেনও মনোনয়ন লড়াইয়ে আছেন।
বাগেরহাট-৩ আসনে বিএনপির গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান, সাবেক ছাত্রদল নেত্রী আয়েশা সিদ্দিকী মানি, জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ ফরিদুল ইসলাম এবং সাবেক পৌর মেয়র জুলফিকার আলী।
বাগেরহাট-৪ আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, জেলা নেত্রী অ্যাডভোকেট তালুকদার ফারহানা জাহান নিপা, মনিরুল হক এবং তাঁতী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মনিরুজ্জামান।
বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী জরিপ: সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগে গুডবুকে যারা জানতে এখানে ক্লিক করুন
বরিশাল বিভাগ
বরগুনা-১ আসনে বিএনপির সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক ফিরোজ উজ জামান মামুন, কেন্দ্রীয় সদস্য মতিয়ার রহমান তালুকদার, নজরুল ইসলাম মোল্লা, জেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক মাহবুব আলম ফারুক মোল্লা এবং ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আমান উল্লাহ আমান।
বরগুনা-২ আসনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম মনি এবং জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির। জোটবদ্ধ নির্বাচন হলে এ আসনে ন্যাশনাল লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন মো. ফারুক রহমানও মনোনয়ন প্রত্যাশী।
পটুয়াখালী
পটুয়াখালী-১ আসনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এয়ার মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন, জেলা বিএনপির সভাপতি স্নেহাংশু সরকার কুট্টি, সাবেক পৌর মেয়র মোস্তাক আহমেদ, ইমাম জাফর সিকদার (ভিপি) এবং ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক জসিম শিকদার রানা।
পটুয়াখালী-২ আসনে বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ মুনির হোসেন, সাবেক এমপি শহিদুল ইসলাম তালুকদার, কেন্দ্রীয় সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ফারুক তালুকদার এবং কৃষক দলের কেন্দ্রীয় নেতা এ কে এম মিজানুর রহমান লিটু।
পটুয়াখালী-৩ আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য হাসান মামুন, গোলাম মাওলা রনি, জেলা যুবদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শিপলু খান এবং উপজেলা বিএনপি নেতা আলতাফ খান। জোটবদ্ধ নির্বাচন হলে এ আসনে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
পটুয়াখালী-৪ আসনে বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশাররফ হোসেন এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নেতা মনিরুজ্জামান মনির।
ভোলা
ভোলা-১ আসনে কেন্দ্রীয় সদস্য হায়দার আলী লেলিন, জেলা বিএনপির আহবায়ক গোলাম নবী আলমগীর, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ ট্রুম্যান, জেলার সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শফিউর রহমান কিরন এবং জেলা সদস্য সচিব রাইসুল ইসলাম। তবে জোটবদ্ধ নির্বাচন হলে আসনটি বিজেপিকে ছেড়ে দিতে পারে বিএনপি।
ভোলা-২ আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য হাফিজ ইব্রাহিম, যুবদলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি শহিদুল্লাহ তালুকদার, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইব্রাহিম খলিল, রফিকুল ইসলাম মমিন এবং যুক্তরাষ্ট্র শ্রমিক দল নেতা জাহাঙ্গীর এম আলম।
ভোলা-৩ আসনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।
ভোলা-৪ আসনে যুবদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন এবং সাবেক এমপি নাজিম উদ্দিন আলম।
বরিশাল
বরিশাল-১ (গৌরনদী-আগৈলঝাড়া) বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জহির উদ্দিন স্বপন, বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আ ক ন কুদ্দুসুর রহমান, সদস্য গাজী কামরুল ইসলাম স্বজল ও ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সোবহান।
বরিশাল-২ আসনে বিএনপির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক কাজী রওনাকুল ইসলাম টিপু, সদস্য সরিফুদ্দিন সান্টু, ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, সিনিয়র সাংবাদিক ইলিয়াস খান, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য দুলাল হোসেন, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় নেতা লায়ন আকতার হোসেন সেন্টু এবং জেলা নেতা কাওসার মজুমদার।
বরিশাল-৩ আসনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান ও ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন।
বরিশাল-৪ আসনে সাবেক এমপি মেজবাহউদ্দিন ফরহাদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান ও যুবদলের সাবেক সহসভাপতি আব্দুল খালেক হাওলাদার।
বরিশাল-৫ আসনে বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মজিবুর রহমান সারোয়ার, কেন্দ্রীয় সদস্য এবাদুল হক চান, আবু নাসের রহমত উল্লাহ, মহানগর আহবায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক ও সদস্য সচিব জিয়াউদ্দিন সিকদার জিয়া।
বরিশাল-৬ আসনে দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবুল হোসেন খান, কেন্দ্রীয় সদস্য ডা. শহীদ হাসান, জেলার সাবেক আহবায়ক হারুনুর রশিদ সিকদার, জেলার সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম রাজন, যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতা কামরুজ্জামান নান্নু এবং যুবদলের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা গোলাম মাওলা শাহীন মনোনয়ন প্রত্যাশী।
ঝালকাঠি
ঝালকাঠি-১ আসনে বিএনপির ধর্মবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামাল, ব্যারিস্টার মঈন ফিরিাজী, যুক্তরাজ্য বিএনপি নেতা সেলিম রেজা, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা রফিক হাওলাদার এবং সাবেক ছাত্রদল নেতা গোলাম আজম সৈকত।
ঝালকাঠি-২ আসনে বিএনপির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এবং বিএম কলেজের সাবেক ভিপি মাহবুবুল হক নান্নুই এখন এগিয়ে। এ ছাড়া আছেন সাবেক এমপি ইশরাত জাহান এলেন ভুট্টো, জেলার সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা জামান মন্টু, কেন্দ্রীয় সদস্য জিবা আমিন খান এবং জেলার সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম নুপুর। তবে জিবা গত ৫ আগস্টের পর নানা কারণে বিতর্কিত হয়েছেন।
পিরোজপুর
পিরোজপুর-১ আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য এলিজা জামান, জেলা বিএনপির আহবায়ক আলমগীর হোসেন, সদস্য সচিব গাজী ওয়াহিদুজ্জামান, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম খান, জেলা সদস্য এম আনোয়ারুল ইসলাম পলাশ, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এবিএম আব্দুর রাজ্জাক এবং সাবেক উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফখরুল ইসলাম। জোটবদ্ধ নির্বাচন হলে এ আসনে সাবেক মন্ত্রী ও জাপার একাংশের চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার মনোনয়ন পেতে পারেন।
পিরোজপুর-২ আসনে বিএনপির সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল কবির লাবু, সাবেক উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফখরুল আলম, উপজেলা বিএনপির সভাপতি আহমেদ সোহেল মঞ্জুর সুমন, সাবেক ভিপি মাহমুদ হাসান এবং উপজেলা আহবায়ক এসএম আহসান কবির। জোটবদ্ধ নির্বাচন হলে এ আসনে লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরানও মনোনয়ন পেতে পারেন।
পিরোজপুর-৩ আসনে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক (পদ স্থগিত) রুহুল আমিন দুলাল, জেলা সদস্য শামীম মিয়া মৃধা, পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি কে এম হুমায়ুন কবির এবং যুবদলের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা এআর মামুন খান।
(ঢাকাটাইমস/১৬আগস্ট/মোআ)

মন্তব্য করুন