পাকিস্তানে বন্যা ও ভূমিধসে ২৫ জনের মৃত্যু, আটকা পড়েছেন ৩ শতাধিক পর্যটক

পাকিস্তানে টানা ভারী বর্ষণে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে। শনিবার (১৬ আগস্ট) স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গিলগিট-বালতিস্তান, আজাদ কাশ্মীর ও খাইবার পাখতুনখোয়া অঞ্চল। গিলগিট-বালতিস্তানের খালথি উপত্যকায় অর্ধ ডজনেরও বেশি বাড়ি ধসে পড়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে অনেকে প্রাণ হারিয়েছেন। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন কয়েকজন। প্রবল স্রোতে ভেসে গেছেন আরও অনেকে।
ভূমিধ্বসের কারণে বালতিস্তান ও সাদপাড়া সড়কের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ফলে পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে অন্তত তিন শতাধিক পর্যটক আটকা পড়েছেন।
এদিকে, আজাদ কাশ্মীরের রাজধানী মুজাফফরাবাদে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে একই পরিবারের ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় নদ-নদীর পানি অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়ায় নতুন করে বন্যার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
গিলগিট-বালতিস্তান ও আজাদ কাশ্মীরসহ দুর্গত এলাকাগুলোতে জরুরি অবস্থা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন। উদ্ধার তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে। সেনা সদস্যরাও উদ্ধারকাজে সহায়তা করছেন।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে ভয়াবহ বন্যায় এখন পর্যন্ত দুই শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (পিডিএমএ)। বন্যায় সাতটি বাড়ি সম্পূর্ণ ধসে গেছে এবং অন্তত ৩৮টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে সোয়াত জেলায়। এছাড়া তিনটি স্কুল ভেঙে গেছে এবং আরও তিনটি আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/১৬ আগস্ট/আরজেড)

মন্তব্য করুন