শেষ হলো বিডিঅ্যাপস ইনোভেশন সামিট: চ্যাম্পিয়ন ডা. চাষী, রানারআপ চিঠি ডট মি

দেশীয় উদ্ভাবন ও ডিজিটাল রূপান্তরের যাত্রাকে বেগবান করতে রবি আজিয়াটা পিএলসি’র আয়োজনে শেষ হলো বিডিঅ্যাপস ইনোভেশন সামিট। এই আয়োজনের মাধ্যমে বিভিন্ন ক্ষেত্রে উদ্ভাবনী অ্যাপ তৈরি করে বিডিঅ্যাপস পরিবারে যুক্ত হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন মেধাবী ডেভেলপাররা।
মঙ্গলবার রাজধানীর একটি কনভেনশন সেন্টারে জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে শীর্ষ ১০টি টিম তাদের আইডিয়া উপস্থাপন করে। এরপর সন্ধ্যায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
শীর্ষ ১০টি টিমের মধ্যে আরো ছিল — চিঠি ডট মি, ডা. চাষী, নার্ডব্রো, পাউবাড্ডি, শ্যুটার এক্স, বার্তা, শিখি এআই, ডায়েটকোচ, লিফমেড এবং এইসআইটি।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. এমদাদ উল বারী বলেন, 'প্রতিনিয়ত ডিজিটাল জীবনধারার বিকাশ হচ্ছে। এর সাথে তাল মিলিয়ে চলতে আমাদের দেশের প্রয়োজন অনুযায়ী স্থানীয় অ্যাপ ডেভেলপ করার বিকল্প নেই। দেশব্যাপী মেধাবী ডেভেলপারদের প্রতিভা বিকাশের সুযোগ করে দেয়ার জন্য আমি রবিকে ধন্যবাদ জানাই। দেশকে প্রযুক্তিগতভাবে এগিয়ে নিতে তাদের এ ভূমিকা অব্যহত থাকবে বলে আমার প্রত্যাশা।'
রবি আজিয়াটা পিএলসি’র এক্টিং সিইও এম. রিয়াজ রশীদ বলেন, 'আগামীর বিশ্বে টিকে থাকতে এবং এগিয়ে যেতে হলে প্রযুক্তির বিকল্প নেই। তাই আমাদের তরুণ প্রজন্ম যত প্রযুক্তিবান্ধব হবে এবং এক্ষেত্রে তাদের মেধা বিকাশের সুযোগ পাবে ততই আমাদের অগ্রগতি নিশ্চিত হবে। তাই দেশব্যাপী মেধাবী তরুণরা যেন ব্যবহারিক অ্যাপ ডেভেলপ করে তা ছড়িয়ে দেয়ার সুযোগ পান এজন্য এ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি আমরা। এই আয়োজনে বিশেষত মেধাবী তরুণদের কাছ থেকে যেমন সাড়া পেয়েছি তা সত্যিই আশাব্যাঞ্জক। বিজয়ী টিমগুলোকে আমার অভিবাদন।'
দেশব্যাপী রোডশোয়ের মাধ্যমে গত মে মাসে শুরু হয় বিডিঅ্যাপস ইনোভেশন সামিটের কার্যক্রম। এরপর অনলাইনে কৃষি, ডিজিটাল শিক্ষা, গেমিং, প্রাণী সুরক্ষাসহ বিভিন্ন খাতের জন্য ১৩শ’র বেশি আইডিয়া জমা পড়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, ফ্রি ল্যান্সারসহ সৃজনশীল তরুণরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই আয়োজনে অংশ নেন। প্রথমে আগ্রহীদের মধ্য থেকে বাছাইকৃত ২৫টি আইডিয়া প্রদানকারীদের তাদের ধারণা উপস্থানের সুযোগ দেয়া হয়। সেখান থেকে বাছাই করা সেরা ১০টি আইডিয়ার মধ্যে হয় চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা।

মন্তব্য করুন