রাজনৈতিক দলগুলোর এক বছরের কর্মকাণ্ড পর্যালোচনা করা উচিত: মঞ্জু

এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন, সরকারের ১ বছরের কর্মকাণ্ড পর্যালোচনার পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত ফ্যাসিবাদমুক্ত পরিবেশে নিজেদের ১ বছরের দলীয় কর্মকাণ্ড পর্যালোচনা করা। বড় রাজনৈতিক দলগুলোর প্রবল সমালোচনা সত্বেও তাদের জনসমর্থন কেন বেশী আর বুদ্ধিবৃত্তিক সংস্কার নীতিতে চলা অপেক্ষাকৃত ছোট দলগুলোর সুনাম সত্বেও তাদের জনসমর্থন কেন কম সেটা পর্যালোচনা করারও তিনি আহ্বান জানান।
মঙ্গলবার ‘রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন প্রদত্ত প্রস্তাবনার ১ বছর: অভিজ্ঞতা ও করণীয়’ শীর্ষক আলোচনায় রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুমের সভাপতিত্বে অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, গত এক বছরে আমরা নানা পথ ও মতের মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করেছি, রাষ্ট্রের সংকট গভীরভাবে বোঝার চেষ্টা করেছি। কিন্তু রাষ্ট্রের সংস্কারের পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের সংস্কারে তেমন কোনো উদ্যোগ নিতে আমরা দেখিনি।
তিনি উল্লেখ করেন, সরকারের প্রধানতম ত্রুটি হলো কাজের অগ্রাধিকারের সঠিক নির্ধারণ না করা। ক্ষমতায় বসার পর তারা আগের মতো সম্পর্ক বজায় রাখেনি।এই সরকারের মূল দায়িত্ব চারটি—রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা রক্ষা, দৃশ্যমান সংস্কার, বিচার নিশ্চিতকরণ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন। এর বাইরেও সরকারকে বহু কাজ করতে হয়েছে—দাবি-দাওয়া মেটানো, আন্তর্জাতিক চাপ সামলানো এবং অসংখ্য ছোট ছোট আন্দোলন মোকাবিলা করা।
মজিবুর রহমান মঞ্জু আরও বলেন, উপদেষ্টা পরিষদের সবাইকে হিসাব জমা দেওয়ার কথা থাকলেও, দুঃখজনকভাবে কয়েকজন ছাড়া অধিকাংশ উপদেষ্টা এই হিসাব জমা দেননি। একইসঙ্গে জাতীয় ঐক্য ধরে রাখার ক্ষেত্রেও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। তিনি প্রশ্ন রাখেন—ফ্যাসিবাদ বিরোধী শক্তিসমূহের মধ্যে আজ কেন এত বিভাজন? নির্বাচন নিয়ে এখন পর্যন্ত সরকার কোনো বিশেষজ্ঞের সঙ্গে আলোচনা করেনি কিংবা রাজনৈতিক দলগুলোর পরামর্শও নেয়নি।আহতদের চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে সমালোচনা করেছেন তিনি।
তিনি বলেন, আহতদের চিকিৎসায় রাষ্ট্রের অর্থ ব্যয় হলেও এর সঠিক সমন্বয় হয়নি। ফলে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা অনেক ক্ষেত্রেই সঠিকভাবে পৌঁছায়নি।
জেবি

মন্তব্য করুন