উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তাকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠালেন হিসাবরক্ষক

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা নাজমুল হোসেনকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে একই কার্যালয়ের উচ্চমান সহকারী (হিসাবরক্ষক) মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে।

রবিবার রাতে বিষয়টি জানাজানি হয়। এরআগে এদিন দুপুরে উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

এরপর কার্যালয়ের অন্যান্য সহকর্মীরা নাজমুল হোসেনকে উদ্ধার করে আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

অভিযুক্ত মনিরুজ্জামান বলেন, একটি চিঠি ইস্যু করা নিয়ে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছিল। জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালকের উপস্থিতিতে ভুল বোঝাবুঝির অবসান হয়েছে।

আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ বলেন, ইউএনও মহোদয় আমাকে বিষয়টি মৌখিকভাবে জানিয়েছেন। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. হাদী জিয়া উদ্দিন আহমেদ বলেন, রবিবার সন্ধা সাড়ে ৬টার দিকে নাজমুল হোসেনকে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। তিনি কিল-ঘুষিতে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। আঘাতে তার দাত নড়ে গেছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি শঙ্কামুক্ত।

এ বিষয়ে জানতে আলমডাঙ্গা উপজেলা সমাজসেবা অফিসার নাজমুল হোসেনের সরকারি নাম্বারে একাধিক কল করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) স্নিগ্ধা দাস বলেন, ফাইল সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে সমাজসেবা অফিসার নাজমুক হোসেনকে শারিরীকভাবে লাঞ্চিত করেছেন একই কার্যালয়ের উচ্চমান সহকারি মনিরুজ্জামান। আহত নাজমুল হোসেনকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক সিদ্দিকা সোহেলী রশীদ বলেন, ঘটনার পরই আমি হাসপাতালে যাই। সমাজসেবা অফিসারের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি শারিরীকভাবে লাঞ্চিত হয়েছেন বলে আমাকে জানিয়েছেন। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে উচ্চমান সহকারী মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরও পড়ুন: ‘টাঙ্গুয়ার হাওরের তলদেশে কয়েক কোটি টাকার প্লাস্টিক বর্জ রয়েছে’

এছাড়া মনিরুজ্জামান বিষয়টি সমাধান হয়েছে বলে জানালেও এ ঘটনায় কোনো সমাধান হয়নি বলে জানান সিদ্দিকা সোহেলী রশীদ।

(ঢাকাটাইমস/১৭জুলাই/এসএম)