তাহলে কি পদত্যাগই করবেন ফারুক?

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) বর্তমান সভাপতি ফারুক আহমেদ। তিনি তার পদে থাকবেন কিনা সেটিই এখন প্রশ্ন। আছে গুঞ্জনও। কয়েকদিন আগেও ব্যাংকে বিসিবির অর্থ রাখা নিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন ফারুক। সেই বিতর্ক কমেছে কিছুটা। হঠাৎ কী হলো যে, ফারুক আহমেদের বোর্ডে থাকা নিয়েই সংশয় শুরু হলো!

ফারুক আহমেদ যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার বাসভবনে তার সঙ্গে দেখা করেছেন। ক্রীড়া উপদেষ্টা আলোচনায় ফারুককে বার্তা দিয়েছেন যে বিসিবির শীর্ষ পদে পরিবর্তন আনতে চাচ্ছেন তারা।

ফারুক এনএসসি মনোনীত পরিচালক হওয়ায় সে মনোনয়নে এনএসসি হয়তো পরিবর্তন আনতে পারে, কিন্তু তিনি যেহেতু এখন নির্বাচিত সভাপতি; স্বেচ্ছায় পদত্যাগ না করলে সরকার তাকে সরিয়ে দিতে পারে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন আছে।

অবশ্য ফারুক আহমেদ যদি নিজ থেকে সরে দাঁড়ান, তাহলে ভিন্ন কথা। একটি সূত্রে জানা গেছে, বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা করার জন্য দু–এক দিন সময় চেয়েছেন ফারুক। পদত্যাগ করলে খুব দ্রুতই তিনি তা করবেন।

কয়েক দিন ধরেই গুঞ্জন, তিন মাসের জন্য বিসিবির সভাপতির দায়িত্ব নিতে পারেন জাতীয় দলের আরেক সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুল, আগামী মাসেই যার আইসিসিতে চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা।

অন্যদিকে ফারুক আহমেদকে সরিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সমেয়ের জন্য বিসিবিপ্রধানের পদে আমিনুল ইসলাম বুলবুলকে বসানোর চিন্তা ভাবনা চলছে। যদিও শোনা যাচ্ছে, আমিনুল ইসলাম পারিবারিক কারণেই বাংলাদেশে এসেছেন।

ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, ৬ এপ্রিল স্ত্রীকে সাথে নিয়ে বাংলাদেশে আসার পর আগামী ২ জুন বুলবুল ফিরে যাবেন অস্ট্রেলিয়া। বর্তমানে বুলবুলের স্ত্রী তার পিত্রালয় যশোরে অবস্থান করছেন।

কিন্তু ২ জুনের আগে নাটকীয়ভাবে বিসিবিপ্রধান হয়ে যেতে পারেন বুলবুল। গতকাল বুধবার দিবাগত গভীর রাতে ক্রিকেটাপাড়ায় উঠেছে এমন আভাস। ফারুক ও আমিনুল ইসলাম বুলবুলের সঙ্গে কথা বলেছেন ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া। একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, ক্রীড়া উপদেষ্টা ফারুক আহমেদকে সরিয়ে বুলবুলকে বিসিবিপ্রধান বানানোর কথা ভাবছেন এবং বলেছেন।

জানা গেছে, বুলবুল ও ফারুক দুজনই কিছু শর্ত দিয়েছেন। যেহেতু আইসিসির গুরুত্বপূর্ণ পদে চাকরি করে বুলবুল মোটা অঙ্কের টানা পান, তাই বিসিবিতে তিনি বিনা বেতনে কাজ করতে অনীহা প্রকাশ করেছেন। জানা গেছে, বুলবুল বিসিবির কাছে ১২ লাখ টাকা দাবি করেছেন।

ওদিকে ফারুক প্রকাশ্যে কিছু না বললেও ঘনিষ্ঠজনদের কাছ থেকে জানা গেছে, ফারুকের কথা একটাই। তিনি বলেছেন, ‘আমাকে তো এনএসসি কোটায় বোর্ডে এনেছেন। এখন আমাকে মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে সরানো হবে কেন?’

তারপরও যদি ফারুককে সরে যাওয়ার জন্য বলা হয়, তাহলে তিনি পদত্যাগ করতে পারেন বা করবেন। অন্যথায় ফারুকও পদ ধরে রাখতে অনড়।

(ঢাকাটাইমস/২৯ মে/আরজেড)