নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হলে আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক হবে: মঈন খান

জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও স্বাভাবিক হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান।
বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই মন্তব্য করেন তিনি।
এসময় মঈন খান বলেন, ৫ আগস্ট যদি সত্যিই নির্বাচনের দিন ঘোষণা করা হয় তবে সেটা যে মাসেই নির্বাচনের সময় দিক না কেন তা নিয়ে এত ভাবনার কারণ নেই।
দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও স্বাভাবিক হবে।
পিআর পদ্ধতির সমালোচনা করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, পিআর পদ্ধতির গভীরে গেলে দেখা যাবে জনগণ একটি দলকে ভোট দিচ্ছে একজন ব্যক্তিকে নয়। এই পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে দেশের সামাজিক অবস্থার সঙ্গে তা সংগতিপূর্ণ হবে না।
তিনি বলেন, অন্য দেশের সঙ্গে আমাদের দেশের সামাজিক অবস্থা এক নয়। তাই পিআর পদ্ধতি এখানে কার্যকর করা যাবে কি না, তা নিয়ে ভাবতে হবে।
‘সরকারকে অনেক বেশি সময় দেওয়া হয়েছে’ দেশে গত ১৭ বছরে গণতন্ত্রের পথচলায় যে বাধাগ্রস্ত হয়েছে বিএনপি তা এগিয়ে নিয়ে যাবে জানিয়ে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অনেক বেশি সময় দেওয়া হয়েছে। এ সরকার আরও বেশি সময় ধরে থাকলে অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো থাকবে না। আর সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন নিয়ে সরকারের কথা বলা উচিত না। এর মাধ্যমে সরকার দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকতে চায়।
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, আমরা এখনও জানি না সরকার কি করতে চায়, পরিকল্পনা কি, রোডম্যাপ কি? সেটাও জানি না। এ নিয়ে প্রশ্ন করলে গাদ্দার হয়ে যাই।
তিনি আরও বলেন, আমরা সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মহাম্মদ ইউনূসের ওপর পুরোপুরি বিশ্বাস করে ভুল করেছি। ভেবেছিলাম এক বছরের মধ্যে নির্বাচন দেবেন, তবে তা হয়নি।
জুলাই সনদে রাজনৈতিক দলগুলো সবাই সই করবে কি করবে না তা নিয়ে সংকট তৈরি হয়েছে-এ কথা জানিয়ে রাশেদ খান বলেন, এক দল বলছে তাদের দাবি মেনে না নেওয়া হলে সনদে সই করবে না। এটা গণতন্ত্রের অংশ হতে পারে না। এটা মবক্রেসি।
ঊচ্চকক্ষে সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন দল কথা বলছে। তবে সরকারের প্রতি আহ্বান, সব দলের সম্মতিক্রমে সংস্কার করতে হবে, জোরপূর্বক সংস্কার চাপিয়ে দেওয়া যাবে না। এতে সংস্কার দীর্ঘস্থায়ী হবে না।
‘অন্তর্বর্তী সরকারের এক্সিট নিয়ে ভাবনার সময় এসেছে’ অন্তর্বর্তী সরকারের ‘এক্সিট’ নিয়ে ভাবনার সময় এসেছে বলে মন্তব্য করেন বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের পদক্ষেপ পরবর্তী সরকার কতটা বৈধতা দেবে তাও চিন্তা করতে হবে। বিশেষ করে সংস্কার ও ইত্যাদি বিষয়। তাদের এখন এক্সিট পলিসি নিয়ে চিন্তা করার সময় এসে গেছে। পাশাপাশি এই অল্প সময়ে তার আর কি কি অর্জন করে বের হয়ে যেতে চান তা বলার সময় হয়ে গেছে।
সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সংস্কার চলমান প্রক্রিয়া। যতটুকু না করলেই নয় ততটুক সংস্কার করা উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এটা আমরা আবার অসংস্কার কার্যক্রমে চলে যাবো।
দেবপ্রিয় বলেন, কোনো রাজনীতিক যদি সুষ্ঠুভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে ব্যর্থ হয় তখনই রাষ্ট্র ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। আর তখনই জরুরি ব্যবস্থা প্রয়োজন পড়ে। এ রকম পরিস্থিতি প্রথম এরশাদের সময়। তখন একটি গণঅভ্যুত্থান হয়।
(ঢাকা টাইমস/৩০জুলাই/জেবি/এসএ)

মন্তব্য করুন