তাহমিনার কাছে গোলাপের পরাজয়: অষ্টম জয় শাজাহানের, নূর-ই-আলমের সপ্তম

মাদারীপুর-৩ আসনে ঈগল প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহমিনা বেগমের কাছে পরাজয় হয়েছে বর্তমান সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবদুস সোবহান গোলাপের। তাহমিনা পেয়েছেন ৯৬ হাজার ৬৩৩ ভোট, আবদুস সোবহান পেয়েছেন ৬১ হাজার ৯৭১ ভোট।
৩৪ হাজার ৬৬২ ভোট বেশি পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন তাহমিনা বেগম। রবিবার রাত ৯টা ১০ মিনিটে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার দাশ এ ফল ঘোষণা করেন।
বিজয় সম্পর্কে জানতে কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুজ্জামান শাহীন বলেন, আজ সত্যের বিজয় হয়েছে। জনগণ এক দুর্নীতিবাজ এমপিকে প্রতিহত করেছে। আমরা আশাবাদী ছিলাম, যে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আমরা বিপুল ভোটে বিজয়ী হব।
জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের সূত্র জানায়, মাদারীপুর-৩ আসনে জাতীয় পার্টির (লাঙ্গল) মো. আবদুল খালেক পেয়েছেন ৫৩৩, তৃণমূল বিএনপির প্রবীণ হালদার পেয়েছেন ৪৩৪, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির নিতাই চক্রবর্তী পেয়েছেন ১৯৩ ও কৃষক-শ্রমিক-জনতা লীগের নকুল কুমার বিশ্বাস পেয়েছেন ২৬৩ ভোট।
মাদারীপুর-২ (জেলা সদরের একাংশ ও রাজৈর উপজেলা) আসনে টানা অষ্টমবারের মতো বিজয়ী হলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খান। ২ লাখ ২০ হাজারের বেশি ভোটের ব্যবধানে জয় পেয়েছেন তিনি।
নৌকা প্রতীকে শাজাহান খান পেয়েছেন ২ লাখ ২৩ হাজার ৫১৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী জাতীয় পার্টির (লাঙ্গল) এ কে এম নুরুজ্জামান পেয়েছেন ৩ হাজার ৪১৫ ভোট। এ ছাড়া বাংলাদেশ কংগ্রেসের সুবল চন্দ্র মজুমদার পেয়েছেন ৩ হাজার ১৯ ভোট, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির ইউসুফ আলী সুমন পেয়েছেন ১ হাজার ৬৬৩ ভোট।
মাদারীপুর-১ টানা সপ্তমবারের মতো বিজয়ী হয়েছে জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী এমপি।
নূর-ই-আলম চৌধুরী প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে বলেন, শিবচরের মানুষ আমাকে টানা ৭ বার ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন। এবার সবচেয়ে বেশি ভোটে আমাকে নির্বাচিত করেছেন। আমার উপর মানুষ আস্থা রেখেছেন, ভালোবাসেন তারা আমাকে। আমার পিতাকেও ৩ বার নির্বাচিত করেছিলেন তারা। সবাই মিলে এবার যেভাবে আমাকে ভোট দিয়েছেন আমি কৃতজ্ঞ। আমি চেষ্টা করবো আগে যেভাবে উন্নয়ন করেছি সেভাবে কাজ করার।
(ঢাকাটাইমস/৮জানুয়ারি/প্রতিনিধি/জেডএম)

মন্তব্য করুন