বিপিএল: সেই ঢাকাকে হারিয়েই সিলেটের দ্বিতীয় জয়

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম এবং ঢাকার মিরপুর জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে একই গল্প লেখা হলো। একই ঘটনার পূনরাবৃত্তি যেন। শুধু ধরণ হালকা বদলেছে। সিলেট স্ট্রাইকার্স ও দুর্দান্ত ঢাকা, এবারের বিপিএলে দুদলের অবস্থাই শোচনীয়! তবে অবস্থা কিছুটা ভালো সিলেটের। ৮ ম্যাচের মধ্যে ২টিতে জিতে ঢাকার উপরে অবস্থান তাদের। মোহাম্মদ মিঠুনের দল যে ২টি জয় পেয়েছে, তার সব কটিই আবার ঢাকার বিপক্ষে, এ যেন মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা!

সিলেট স্ট্রাইকার্স নিজেদের মাঠ সিলেটে দুর্দান্ত ঢাকার বিপক্ষেই পেয়েছিলো প্রথম জয়। ওই ম্যাচে ১৫ রানে মোসাদ্দেকের ঢাকাকে হারিয়েছিলো মিঠুনের সিলেট। এবার ঢাকার মিরপুরে শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ঢাকাকে ৫ উইকেটে হারিয়ে নিজেদের দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। সেবার রানের ব্যবধানে, এবার উইকেটের ব্যবধানে।

নিজেদের অষ্টম ম্যাচে বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকাকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে সিলেট। তাসকিন আহমেদদের ৮ উইকেটে ১২৪ রানের জবাবে এক ওভার ও ৫ উইকেট হাতে রেখে জিতেছে মিঠুনের দল।এটি ঢাকার টানা ষষ্ঠ হার। অন্যদিকে এ জয়ের ফলে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ছয় নম্বরে তারা। ৭ ম্যাচে ২ পয়েন্ট নিয়ে সবার নিচে অবস্থান ঢাকার।

রান তাড়া করতে নেমে উইকেটের মিছিল চলতে থাকে সিলেটের। ৪১ রানের মধ্যে তারা হারিয়ে ফেলে ৩ উইকেট। দলীয় ২ রানে সামিত প্যাটেল, ১৭ রানে হ্যারি টেক্টর, ৪১ রানে আউট হন জাকির হাসান। হাল ধরে ছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। মোহাম্মদ মিঠুন তাকে ১৭ রান করে সঙ্গ দেন। শান্ত ২৫ বলে করেন ৩৩ রান। এরপর বেনি হাওয়েল ও রায়ান বার্লের ব্যাটে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে সিলেট।

এর আগে ৮ উইকেট হারিয়ে ১২৪ রান করে ঢাকা। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৪ রানেই প্রথম উইকেট হারায় ঢাকা। ৪ রানে ফিরে যান এক ম্যাচ আগে বিপিএল অভিষেক হওয়া সাব্বির হোসেন। এরপর মোহাম্মদ নাঈম ও সাইফ হাসানের ব্যাটে এগোতে থাকে রানের চাকা। শুরুতে কিছুটা ধীরে-স্থির হয়ে খেললেও কিছু সময় পর আক্রমণাত্মক হন তারা। যদিও আউট হওয়ার আগে সাইফ ও নাঈমের স্ট্রাইকরেট ততটা আহামরি ছিল না।

ব্যক্তিগত ৩২ বলে ৪১ রান করে আউট হন সাইফ। তার ইনিংসে ছিল ৬টি চার ও একটি ছয়ের মার। নাঈম ২ চার ও সমানসংখ্যাক ছয়ে ২৯ বলে করেন ৩৬ রান। আলেক্স রস আউট হন মাত্র ৫ রানে। সাইম আয়ুবও কাজের কাজ কিছুই করতে পারেননি। ১৩ বলে ১০ রান করেন পাকিস্তানি ব্যাটার। ইরফান শুক্কুর ১০ বলে করেন ৮ রান। শেষদিকে ঢাকা আর বড় সংগ্রহ পায়নি। লাসিথ ক্রুসপুলে ১২ ও তাসকিন আহমেদ করেন ৬ রান। সিলেটের হয়ে ৩ উইকেট পান রেজাউর রহমান রাজা। সামিত প্যাটেল নেন ২ উইকেট। একটি করে উইকেট পান নাঈম হাসান ও বেনি হাওয়েল। (ঢাকাটাইমস/০৭ফেব্রুয়ারি/এনবিডব্লিউ)