র‍্যাবের অভিযানে ‘ল্যাংরা পটেটো’ ও ‘কিং শাওন’ গ্রুপের ২১ সদস্য গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:২৫| আপডেট : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:০০
অ- অ+

রাজধানীর মিরপুর, দারুস সালাম এবং ঢাকা জেলার সাভার এলাকা থেতে কিশোর গ্যাং “ল্যাংরা নুরু”, “পটেটো রুবেল” ও “কিং শাওন” গ্রুপের লিডারসহ ২১ জন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৪।

শনিবার র‍্যাব-৪ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. জিয়াউর রহমান চৌধুরী এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ১৫ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর মিরপুর থানা এলাকা থেকে “ল্যাংরা নুরু” গ্যাং এর পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলেন, ভোলার শাহ আলম ওরফে ল্যাংরা নুরু (৪৮), নরসিংদীর জমির (২৪), কিশোরগঞ্জের মো. জাহিদুল ইসলাম রানা (২৪), চাঁদপুরের মো. আল-আমিন (২০) এবং নাটোরের মো. ফারুক প্রামানিক (৩৮)।

এছাড়াও একই দিন দারুস সালাম থানার গাবতলী এলাকা থেকে “পটোটো রুবেল” গ্রুপ এর নোয়াখালীর মো. সোলাইমান (১৮), রাজবাড়ীর মো. লালন রানা (২০), খুলনার মো. শাওন খান এবং ঢাকার মো. ইমন ওরফে ফ্লাস ইমন (১৯), মো. ইয়ামিন (১৯), মো. সোহান বেপারী (১৯), এবং ভোলার মো. উমর ফারুককে (২০) গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-৪।

র‍্যাব জানায়, রাজধানীর মিরপুর, দারুসসালাম, পল্লবী, শাহ আলী এলাকায় বেশ কিছু কিশোর গ্যাং সক্রিয় রয়েছে। তার মধ্যে “ল্যাংরা নুরু’’ ও “পটেটো রুবেল” এর লিডারসহ ৭০-৮০ জনের সক্রিয় সদস্য রয়েছে। এই গ্যাংয়ের সদস্যরা মিরপুর, মোহাম্মদপুর, পল্লবী, ভাষানটেকসহ আশেপাশের এলাকায় চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মারামারি, মাদক সেবন ও ইভটিজিংসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। চিহ্নিত এসব বেপরোয়া ও মাদকসেবী কিশোর গ্যাং এর সদস্যদের অত্যাচারে বাসস্ট্যান্ডে আসা দূর-দূরান্তের যাত্রী ও স্থানীয় লোকজন অতিষ্ঠ ও অসহায় হয়ে পড়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে কিশোর গ্যাং এর লিডার “ল্যাংরা নুরু” ও “পটেটো রুবেল” এর সহযোগীদের নিয়ে বিভিন্ন বাস-ট্রাকে চুরি, ছিনতাই এবং চাঁদাবাজি করে আসছিলো। দূর-দূরান্ত থেকে আসা বাস-ট্রাক গাড়ি গুলোর গতিরোধ করে ড্রাইভারদেরকে মোটা অংকের টাকা দাবি করে। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ড্রাইভারদেরকে গাড়ি থেকে জোরপূর্বক নামিয়ে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র দিয়ে সাধারণ, গুরুতর আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। তাছাড়াও ফুটপাতের দোকানদাররা চাঁদা দিতে অস্বীকার জানালে তাদেরকেও মারধর করে। “ল্যাংরা নুরু” গ্রুপের লিডার শাহআলম ওরফে ল্যারা নুরুর বিরুদ্ধে মিরপুর, কাফরুল ও শেরেবাংলা নগর থানায় মারামারি এবং খুনের চেষ্টা সংক্রান্ত ৫টি মামলাসহ রাজধানীর বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। রাজধানী থেকে এসকল কিশোর অপরাধীদের বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

এদিকে ওই দিনই ওপর এক অভিযানে ঢাকা জেলার সাভার থানার গেন্ডা এলাকা থেকে আরও ৯ জন সদস্যকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।

তারা হলেন- মো. শাওন (২০), নুর ইসলাম (১৯), মো. আলামিন (২১), মো. আব্দুল মান্নান (২০), মো. আজিম (২০), পিয়াস হোসেন (২১), মো. রাকিবুল ইসলাম (১৯), মো. সজিব হোসেন (২০) এবং মো. আলামিন (১৮)। তারা কিং শাওন গ্রুপের সদস্য।

র‍্যাব বলছে, এই সদস্যরা সাভার ও আশুলিয়ায় মাদক বহনসহ চুরি, ছিনতাই, ইভটিজিং এমনকি অপহরণে সম্পৃক্ত। উঠতি বয়সের এসব কিশোরদের দৈনন্দিক অপকর্মের কারণে এলাকাবাসী আতঙ্কিত ছিলো। পরবর্তীতে তাদেরকে সার্বিক বয়স ও শিক্ষার্থী বিবেচনায় সুনাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠার প্রত্যাশায় নিজ নিজ পরিবারের নিকট অঙ্গীকারনামার মাধ্যমে হস্তান্তর করা হয়।

(ঢাকাটাইমস/১৭ফেব্রুয়ারি/এইচএম/ইএস)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
শালিক পাখির প্রেম
নীলফামারীতে কাঁচামরিচের কেজি ১০ টাকা, হতাশ মরিচ চাষিরা
শুক্রবার ছুটির দিনে ১২ ঘণ্টায় সড়কে ঝরল ১৬ প্রাণ
মা হারালেন অর্ষা, হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিনেত্রীর স্বামীর ক্ষোভ
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা