মাদারীপুরে সংঘর্ষ-ভাঙচুর-লুটপাট: হাতবোমায় উড়ে গেল ব্যবসায়ীর প্রাণ

মাদারীপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষ ও হাতবোমা বিস্ফোরণে ইকবাল বেপারী (৩৫) নামে এক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন।

শনিবার রাত ৯টার দিকে মাদারীপুর পৌরসভার চরমুগরিয়া বাজারে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় দুটি বসতঘরে অগ্নিসংযোগ, ২০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনাও ঘটে বলে অভিযোগ উঠেছে।

সংঘর্ষে নিহত ইকবাল বেপারী চরমুগরিয়া এলাকার সোলেমান বেপারীর ছেলে। তিনি চরমুগরিয়া বাজারের একজন কসমেটিকস ব্যবসায়ী ছিলেন।

স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার বিকালে উপজেলার চরমুগরিয়া এলাকায় ইকবাল বেপারীর মোটরসাইকেলের সঙ্গে ধাক্কা লাগে সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা জিহাদ হাওলাদার (১৬) নামে এক কিশোরের। এ ঘটনার জের ধরে শনিবার সন্ধ্যায় জাহিদ হাওলাদারের নেতৃত্বে চরমুগরিয়া বাজারে আধিপত্য দেখাতে হামলা চালায়।

এ সময় ইকবালের সমর্থকরা হামলা প্রতিরোধ করতে গেলে উভয়পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষ ও হাতবোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

বোমার আঘাতে ইকবালসহ গুরুতর আহত হন অন্তত ১১ জন। পরে ইকবালকে উদ্ধার করে প্রথমে মাদারীপুর জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে ইকবালের মৃত্যু হয়।

এর আগে চরমুগরিয়া বাজারের নিহত ইকবালের দোকানসহ ২০টি দোকান, যুবলীগ নেতা ও জেলা পরিষদের সদস্য নাঈম খানের বসতঘর ও অফিস কক্ষে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। এছাড়া দুটি ঘরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।

খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনা সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি থমথমে থাকায় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এদিকে ঘটনায় অভিযুক্তদের বিচারের দাবি করেছেন নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী।

মাদারীপুর সদর মডেল ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএইচএম সালাউদ্দিন বলেন, ‘আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে এক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধের আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

(ঢাকাটাইমস/২২সেপ্টেম্বর/এজে)