জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় তামাক কোম্পানির কূটকৌশল উন্মোচন জরুরি, কর্মশালায় বক্তারা

তামাকজনিত মৃত্যু আড়াল করতে এবং ব্যবসা বাড়াতে তামাক কোম্পানিগুলোর নানা ধরনের কূটকৌশল উন্মোচন করা জরুরি বলে মত দিয়েছেন বক্তারা। \
বুধবার রাজধানীর বিএমএ ভবনে দুদিনের এক কর্মশালার সমাপনি দিনে তারা এই মত দেন।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান প্রগতির জন্য জ্ঞান-প্রজ্ঞা এবং অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া এলায়েন্স-আত্মা সাংবাদিকদের জন্য এই কর্মশালার আয়োজন করে।
কর্মশালায় বলা হয়, সম্প্রতি আইন সংশোধনকে বাধাগ্রস্ত করতে দুটি তামাক কোম্পানি অর্থ এবং আইন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরারর চিঠি দিয়েছে। আইন সংশোধন হলে সরকারের রাজস্ব হারানোসহ বেশকিছু ভিত্তিহীন তথ্য তুলে ধরেছে কোম্পানি দুটি। অথচ জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ২০০৫ সালে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন পাস হওয়ার পর পরবর্তী দুই অর্থবছরে সিগারেট খাতে রাজস্ব আয় বেড়েছে যথাক্রমে ১৭.৯৭ শতাংশ এবং ৩৭.৫২ শতাংশ। একইভাবে, ২০১৩ সালে সংশোধনীর পর পরবর্তী দুই অর্থবছরে সিগারেট খাতে রাজস্ব আয় বেড়েছে যথাক্রমে ২৫.৫১ শতাংশ এবং ৪৬.৫২ শতাংশ।
কর্মশালার আয়োজকরা বলেন, তামাক আইন সংশোধনের সঙ্গে খুচরা বিক্রেতাদের কর্মসংস্থান হারানোর তেমন কোনো সম্পর্ক নেই। কারণ এ ধরনের খুচরা বিক্রেতারা তাদের অন্যান্য পণ্যের সঙ্গেই তামাক পণ্য বিক্রি করেন, শুধু তামাক পণ্য বিক্রি করেন এমন খুচরা বিক্রেতার সংখ্যা একেবারেই নগন্য।
বক্তারা বলেন, প্রতিবছর জাতীয় বাজেটকে প্রভাবিত করতে সিগারেট কোম্পানিগুলো বিভিন্ন ব্যবসায়িক সংগঠনকে ব্যবহার করে থাকে। মালিকদের অর্থায়নে বিড়ি শ্রমিকরা মানববন্ধন কর্মসূচির মাধ্যমে বিড়ির মূল্য না বাড়ানোর জন্য আন্দোলন করে। এছাড়া সুবিধাভোগীদের দিয়ে কলাম ও নিবন্ধ প্রকাশ, ডিও লেটার প্রদান ইত্যাদি কূটকৌশল অবলম্বন করে কোম্পানিগুলো। তাই মারণঘাতি এই পণ্যের ব্যবসা ধীরে ধীরে কমিয়ে এনে শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসতে তামাক কোম্পানিগুলোর এসব কূটকৌশল জনসাধারণের সামনে তুলে ধরতে হবে।
দুদিনের এই কর্মশালায় আলোচনায় অংশ নেন বিসিআইসির সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোস্তাফিজুর রহমান, ঢাকা ট্রিবিউনের নির্বাহী সম্পাদক রিয়াজ আহমেদ, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের ডেপুটি এডিটর সাজ্জাদুর রহমান, ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি দৌলত আকতার মালা, আত্মার কনভেনর লিটন হায়দার, কো-কনভেনর নাদিরা কিরণ ও মিজান চৌধুরী এবং প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের ও পরিচালক হাসান শাহরিয়ার।
(ঢাকাটাইমস/০৫ফেব্রুয়ারি/এফএ)

মন্তব্য করুন