রাঙ্গাবালীতে নির্মাণের এক বছরেই সংযোগ সড়কে ধস 

রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৪:২০
অ- অ+

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নে ধসে পড়ছে একটি সেতুর সংযোগ সড়ক। সেতু বরাবর গাইডওয়ালের গোড়ায় দেখা দিয়েছে ফাটল। ফলে পুরো সেতুটি ঝুঁকিতে রয়েছে। এলাকাবাসীর দাবি, দ্রুত সেতুটি সংস্কার করে ঝুঁকিমুক্ত করা হোক।

উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নে উত্তর চরমোন্তাজ ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান এম এ মতিনের বাড়ি সংলগ্ন খালের উপর ৬৬ মিটার সেতু ও ৩৫০ মিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু নির্মাণের এক বছরের মাথায় সেতুটির সংযোগ সড়ক ও গাইডওয়ালে ভারী বর্ষণের কারণে ধসে পড়ে। সেতু বরাবর গাইডওয়ালের গোড়ায় দেখা দিয়েছে ফাটল। যেকোনো সময় পুরো গাইডওয়াল ধসে পড়ে সেতুটি চরম হুমকির মুখে পড়তে পারে এমনটাই আশঙ্কা স্থানীয়দের।

এছাড়াও ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয় যানবাহনের। প্রতিদিন সেতুটি দিয়ে দুই পাড়ের শত শত মানুষের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়। ঠিকাদারের নিম্নমানের কাজের কারণে এমনটাই হয়েছে বলে দাবি এলাকাবাসীর। স্থানীয়রা জানান, পুরো গাইডওয়াল জুড়েই এ ফাটল স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। আর এ ফাটলের কারণে গাইডওয়াল জুড়ে বসানো পিলারগুলোও নড়বড়ে হয়ে গেছে। ফলে এলাকাবাসী ও পথচারীদের মাঝে এক ধরনের আতঙ্ক বিরাজ করছে। তাদের আশঙ্কা গাইডওয়াল ধসে পড়ে সেতুটিকে দুর্বল ও ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলতে পারে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) রাঙ্গাবালী কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ইউনিয়ন-উপজেলা সংযোগ সড়কের অনূর্ধ্ব ১০০ মিটার ব্রিজ প্রকল্পের আওতায় চরমোন্তাজ ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান এম এ মতিনের বাড়ি সংলগ্ন খালের ওপর ৬৬ মিটার সেতু ও ৩৫০ মিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। এতে ব্যয় হয়েছে সাড়ে ৬ কোটি টাকা। কিন্তু বছর না যেতেই ধসে পড়ে সংযোগ সড়ক গাইডওয়াল।

চরমোন্তাজ ইউনিয়নের স্থানীয় বাসিন্দা বাহাদুর ইসলাম বলেন, ভারী বর্ষণের কারণে সেতুর সংযোগ সড়কও গাইডওয়াল ভেঙে পড়ছে। কাজ করার ৬-৭ মাস পরই ধসে পড়ে সেতুটির সংযোগ সড়কও গাইডওয়াল। ঠিকাদারের নিম্নমানের কাজের কারণে এমনটা হয়েছে। যদি দ্রুত কাজ না করা তাহলে সেতুটি চলাচল করতে ঝুঁকি আরও বাড়বে। তবে দ্রুত সংস্কার করার দাবি তাদের।

ঠিকাদার মো. জামাল হোসেনের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তার সাথে যোগাযোগ করা যায়নি।

এ ব্যাপারে উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ইতোমধ্যে ঠিকাদারের সাথে কথা হয়েছে। এছাড়াও ঠিকাদার জামানত কাজ সম্পূর্ণ শেষ করার পর দেওয়া হবে। আর যত দ্রুত সম্ভব কাজটি সংস্কার করা হবে বলে আশা করি।

(ঢাকা টাইমস/২৫ফেব্রুয়ারি/এসএ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
ঈদের দিন ভারতে পালানো কোরবানির মহিষ ফেরত আনলো বিজিবি
মেট্রোরেলে মাংস নিয়ে ওঠার চেষ্টা, অতঃপর বাধা
দেশে আরও ৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত
গুম এবং চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে সকল শহীদ পরিবারের পাশে রয়েছে বিএনপি: আমিনুল হক 
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা