বালিয়াকান্দিতে হাটের ইজারা সংগ্রহকে কেন্দ্র করে হত্যা, মামলার আরেক আসামি গ্রেপ্তার

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দির সোনাপুর বাজারের ইজারা সংগ্রহকে কেন্দ্র করে মিলন ওরফে কদম (৩৫) হত্যার ঘটনায় আরও এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত আসামির নাম, আশরাফুল মন্ডল (২৭)। তিনি বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের বড় হিজলী গ্রামের মৃত ইসলাম মণ্ডলের ছেলে।
শুক্রবার রাতে বালিয়াকান্দি থানা পুলিশের একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করে। এ নিয়ে চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার মোট পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তার করল বালিয়াকান্দি থানা পুলিশ।
শনিবার সকালে বালিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জামাল উদ্দিন এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের সোনাপুর বাজার ইজারাকে কেন্দ্র করে কালুখালী উপজেলার মাঝবাড়ি ইউনিয়নের চরকুলটিয়া গ্রামের আরজু গ্রুপ ও বেতবাড়িয়া গ্রামের শিমুল গ্রুপের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। আরজু গ্রুপ কাঁচা বাজারের খাজনা তুলতে গেলে শিমুল গ্রুপ বাধা দেয়। এ নিয়ে উভয় গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চরম আকার ধারণ করে। তাদের মধ্যে একাধিকবার মারামারি সংঘটিত হয়। এ বিরোধকে কেন্দ্র করে গত ২৫ মে দুপুর সোয়া ১২টা থেকে সাড়ে ১২টায় শিমুল গ্রুপের লোকজন কালুখালী উপজেলার মাজবাড়ী ইউনিয়নের চরকুলটিয়া গ্রামের খবির মোল্লার ছেলে আরজু (৪০), মো. লোকমান মণ্ডলের ছেলে মিলন ওরফে কদম (৩৫), হাবিল মণ্ডলের ছেলে বাচ্চু মণ্ডলদের (৩৮) দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।
সংবাদ পেয়ে বালিয়াকান্দি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে কালুখালী ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স ও স্থানীয় জনগণের সহায়তায় আহতদের উদ্ধার করে কালুখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। আহতদের শারীরিক অবস্থা অবনতি হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আরজু, মিলন ওরফে কদমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয় এবং বাচ্চুকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। গত ২৭ মে দুপুর পৌনে ২টার সময় মিলন ওরফে কদম ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
এ ঘটনায় মিলন ওরফে কদমের বড় ভাই মো. আফজাল হোসেন ২৭ জনের নাম উল্লেখ করাসহ অজ্ঞাতনামা ১০-১৫ জনকে আসামি করে বালিয়াকান্দি থানায় বুধবার মামলা করেন।
পুলিশ কর্মকর্তা জামাল উদ্দিন জানান, এ ঘটনায় মামলা দায়ের হলে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আসামি শনাক্ত করে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় এর আগে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত চারজন এজাহারনামীয় আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। মামলার সুষ্ঠু তদন্তে আমরা বাকি আসামিদের আইনের আওতায় আনতে কাজ করি। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল রাতে এই মামলার আরেক আসামি আশরাফুলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত আসামির বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
(ঢাকা টাইমস/৩১মে/এলএম/এসএ)

মন্তব্য করুন