এক মাস আগেই জানিয়েছিল ঢাকাটাইমস- গুলশানে প্রস্তুত হচ্ছে তারেক রহমানের বাড়ি

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরে গুলশান-২ এর এভিনিউ রোডের ১৯৬ নম্বর বাড়িতে উঠবেন। এরই মধ্যে বসবাস উপযোগী করে প্রস্তুত করা হয়েছে বাড়িটি।
দেশে ফিরে গুলশানের বাড়িতে উঠবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান- এ সংক্রান্ত তথ্য এক মাস আগেই ঢাকাটাইমসের ইউটিউব চ্যানেল ‘ঢাকা টাইমস ডিজিটালে’র খবরে জানানো হয়েছিল।
ওই খবরে বলা হয়, ‘গুলশানে প্রস্তুত হচ্ছে তারেক রহমানের থাকার বাড়ি। মাকে নিয়ে সেখানেই থাকবেন তিনি।’
এদিকে গত মঙ্গলবার বিএনপির একাধিক নেতৃত্ব পর্যায়ের সূত্র ঢাকাটাইমসকে জানান, দেশে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারেক রহমান। নির্বাচনের তারিখ সুনির্দিষ্ট হলে দেশে ফিরবেন ১৭ বছর ধরে যুক্তরাজ্যে নির্বাসনে থাকা বিএনপির এই তরুণ কান্ডারী।
দেশে ফিরে তারেক রহমান গুলশানে নিজেদের ওই বাড়িতেই উঠবেন। বসবাস উপযোগী করতে বাড়িটি প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানান নেতারা।
এ নিয়ে মঙ্গলবার ঢাকাটাইমস অনলাইনে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। শিরোনাম— ‘গুলশানের নিজ বাড়িতেই উঠবেন তারেক রহমান’।
দেড় বিঘা জমির ওপর নির্মিত ডুপ্লেক্স বাড়িটির মালিক বেগম খালেদা জিয়া। ১৯৮১ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবদুস সাত্তার তাকে বাড়িটি বরাদ্দ দেন। এত দিন এটি খালেদা জিয়ার তত্ত্বাবধানে থাকলেও নাম জারি ছিল না। কিছুদিন আগে অন্তর্বর্তী সরকার এই বাড়ির নামজারির কাগজপত্র তার হাতে তুলে দেয়।
গুলশান-২ এর এভিনিউ রোডের শেষ মাথার ১৯৬ নম্বর বাড়িতে এত দিন ভাড়া ছিলেন বহুজাতিক কোম্পানি ব্রিটিশ-আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশের সিও। ছয় মাস আগে ওই কোম্পানি বাড়িটি ছেড়ে দেয়।
এরপর বাড়িটি তারেক রহমানের থাকার উপযোগী করে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ হয়েছে। এটি এখন পুরোপুরি প্রস্তুত বলেই তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে।
সম্প্রতি খালেদা জিয়ার সঙ্গে লন্ডন থেকে দেশে এসেছিলেন তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান। তিনি লন্ডন ফিরে যাওয়ার আগে গুলশানের প্রস্তুত হতে থাকা বাড়িটি পরিদর্শন করেন। তিনি বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়ে গেছেন। তারেক রহমানের জন্য সেভাবেই প্রস্তুত করা হয়েছে বাড়িটি।
খালেদা জিয়া এখন গুলশানে ‘ফিরোজা’ নামের যে বাড়িতে থাকেন, সেটির পাশেই তাদের এই বাড়ি। সাদা রঙের দোতলা ছায়াঘেরা বাড়িটির বহিরাঙ্গন বেশ পরিপাটি ও সুদৃশ্য।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বাড়ির ভেতরটাও অত্যন্ত নান্দনিকভাবে সাজানো হয়েছে। বাড়িটিতে তিনটি বেডরুম, একটি ড্রয়িং রুম, লিভিং রুম, ডাইনিং রুম রয়েছে। এ ছাড়া বাড়ির সামনে প্রশস্ত সবুজ আঙিনার পাশাপাশি আছে একটি সুইমিং পুল।
১৯৮১ সালের ৩১ মে তখনকার রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান মারা যাওয়ার পর তার দীর্ঘদিনের বাসস্থান ঢাকা সেনানিবাসের মইনুল রোডের বাড়িটি খালেদা জিয়াকে বরাদ্দ দেয় বিচারপতি আবদুস সাত্তার সরকার। কিন্তু বিগত আওয়ামী লীগ সরকার ২০১০ সালে সেখান থেকে বেগম জিয়াকে একরকম টেনে-হিঁচড়ে বের করে দেয়।
এরপর বেগম খালেদা জিয়া তার ভাই এসকান্দার মির্জার বাসায় কিছুদিন থেকে গুলশানের ভাড়া বাসা ফিরোজায় ওঠেন। গত ১৫ বছর ধরে সেখানেই আছেন তিনি।
এর মধ্যে ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যু হয়। কোকোর স্ত্রী এবং অন্য আত্মীয়রা মাঝে মাঝে এসে থাকেন ফিরোজায়। ৭৯ নম্বর রোডের ১ নম্বর এই বাড়ির মালিক বিএনপি আমলের প্রতিমন্ত্রী অবসরপ্রাপ্ত মেজর কামরুল ইসলামের ছেলে তানভীর ইসলাম। ছেলে তারেক রহমান দেশে ফিরলে ফিরোজা ছেড়ে নিজের বাড়িতে উঠবেন সবাই।
সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ৭ মার্চ ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তারেক রহমানকে। তখন তিনি ছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব। নিদারুণ নির্যাতনের শিকার তারেক রহমান ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান। তার সঙ্গে যান স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান ও শিশুকন্যা জাইমা রহমান। মেয়ে জাইমা রহমান এখন ব্যারিস্টার।
(ঢাকাটাইমস/১৯জুন/মোআ)

মন্তব্য করুন