সৌদি আরবে বরফ

রাতারাতি বালির মরুভূমি বদলে গেছে বরফের চাদরে। বছরের নভেম্বর-ডিসেম্বরের েএই সময়টা মরুভূমির দেশ সৌদি আরবে কিছুটা শীত অনুভূত হয়। সাধারনত এই সময়ে তাপমাত্রা থাকে ১৩ থেকে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। তবে এই বছরে সেখানে তাপমাত্রা হঠাত্ একেবারে শূন্যের নিচে নেমে যায়। সৌদি আরবের উত্তর-পশ্চিম এবং মধ্য অঞ্চলে বালির মরুভূমি ঢেকে গিয়েছে বরফের চাদরে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এটা ঘটনা বিরলতম। এর আগে এমন কোনও দিন ঘটেনি। সৌদি আরবের উত্তরে আল জফের তাপমাত্রা নেমে যায় হিমাঙ্কেরও ৩ ডিগ্রি নিচে। বরফ পড়ায় বাসিন্দারা আনন্দে রাস্তায় নেমে আসেন। হঠাত্ এই ভাবে বরফ পড়া নিয়ে তারা বিস্মিত ও আনন্দে আত্মহারা। সোশ্যাল মিডিয়ায় সে সব ছবি ও ভিডিও পোস্ট হওয়ার পর রীতিমতো ভাইরাল হয়ে ওঠে।
নভেম্বর-ডিসেম্বর এখানকার শীতের মরসুম। বালির দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রার তারতম্য হয়েই থাকে। কিন্তু শূন্যের এতটা নিচে তাপমাত্রা নামা, এটা বিরলতম ঘটনা। মাঝে মাঝে হালকা বৃষ্টি, মেঘলা আবহাওয়া ছিল বেশ কয়েক দিন ধরেই।অত্যাধিক তুষারপাতে ঢেকে গিয়েছে রাস্তাঘাট। রাস্তায় প্রবল যানজট। এসব সত্ত্বেও মানুষ গাড়ি থেকে নেমে রীতিমতো বরফ নিয়ে খেলতে শুরু করেছে।
বালি ঢাকা পড়েছে বরফের চাদরে। বিভিন্ন জায়গায় বরফের মানুষ তৈরি করে রাখা হয়েছে। স্নো-ম্যান বা বরফের মানুষ তৈরি করা নাকি ইসলাম বিরোধী, এই নিয়ে এর আগে বিতর্কও তৈরি হয়েছে সৌদি আরবে। সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে ২০০০ ফুট উঁচুতে উত্তর আল জফের এই পাহাড়ি এলাকা ঢেকে গিয়েছে বরফে।
সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এখানে একটু আধটু তুষারপাত হয়। কিন্তু এই ভাবে এত বেশি তুষারপাত কখনও হয়নি। এমনিতে এখানকার গড় তাপমাত্রা যথেষ্ট বেশি। তবে আবাহবিদদের মত, এই এলাকায় ঝড় হচ্ছে বেশ কয়েকদিন ধরে। এর সঙ্গে কিউমুলোনিম্বাস মেঘের জটলায় হঠাত্ অনেকখানি তাপমাত্রা কমে গিয়েছে। এই কারণেই ঘটেছে তুষারপাত।
কাশিম বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহবিদ ও প্রফেসর আবদালাহ আল মুসানাদ জানান, এই মরসুমে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে এখানে। বর্ষা চলে যাওয়ার ৪০ দিন পর এমন অস্বাভাবিক বৃষ্টি এর আগে ঘটেনি।
গত বছর এপ্রিলে প্রকৃতির রোষে পড়তে হয়েছিল সৌদিকে। অত্যাধিক বৃষ্টিতে ভয়াবহ বন্যা হয়েছিল। সে সময় বন্যায় ১৮ জন মারা যান। ক্ষয়ক্ষতিও হয় প্রচুর।
(ঢাকাটাইমস/৩ডিসেম্বর/জেএস)

মন্তব্য করুন