ওয়ালটন ২৬ মডেলের নতুন ফ্রিজ বাজারে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ১২ জুন ২০১৭, ১৬:৪৫
অ- অ+

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে ওয়ালটনের শতাধিক মডেলের ফ্রস্ট, নন-ফ্রস্ট ও ডিপ ফ্রিজ। এর মধ্যে নতুন এসেছে ২৬টি মডেলের ফ্রস্ট ও নন-ফ্রস্ট ফ্রিজ। যেগুলোতে ব্যাপক ভিত্তিক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী প্রযুক্তির পাশাপাশি ব্যবহার করা হয়েছে পরিবেশ বান্ধব সম্পূর্ণ গ্রীণ গ্যাস জ৬০০ধ রেফ্রিজারেন্ট। ঈদকে সামনে রেখে এবার দুই লাখেরও বেশি ফ্রিজ বিক্রির টার্গেট নিয়েছে কোম্পানিটি।

ওয়ালটন সূত্র মতে, ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে প্রতিবছরই ফ্রিজের চাহিদা ও বিক্রি বাড়ে। এর সঙ্গে এবার যুক্ত হয়েছে অসহনীয় গরম। ফলে ফ্রিজের চাহিদা তুলমামূলক বাড়ে। আর এই বাড়তি চাহিদা পূরণে বাজারে সর্বোচ্চ সংখ্যক মডেলের রেফ্রিজারেটর ও ফ্রিজার নিয়ে এসেছে দেশীয় ব্র্যান্ড ওয়ালটন। কারখানায় উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি গড়ে তোলা হয়েছে পণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ। সরবারহ নির্বিঘ্ন রাখতে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। কারখানা থেকে ২৪ ঘণ্টা পণ্য পাঠানো হচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।

জানা গেছে, নতুন আসা ২৬ মডেলের মধ্যে রয়েছে ১৫টি ফ্রস্ট ও ১১টি নন-ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটর। ফ্রস্ট ফ্রিজের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি টেম্পারড গ্লাস ডোরের রেফ্রিজারেটর। চোখ ধাঁধানো ডিজাইন ও কালারে তৈরি করা হচ্ছে নতুন মডেলের এসব ফ্রিজ। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও মেশিনারিজের সমন্বয়ে টেম্পারড গ্লাস দিয়ে তৈরি হচ্ছে এসব ফ্রিজের ডোর। এছাড়াও খাবারকে সতেজ ও টাটকা রাখতে এসব ফ্রিজে ব্যবহার করা হয়েছে ‘ন্যানো হেলথকেয়ার’ এর মতো বিশেষ প্রযুক্তি, যা ফ্রিজের খাবারে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া অনুপ্রবেশ স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রতিরোধ করে। নেগেটিভ আয়ন খাবারকে সজীব ও সতেজ রাখে বলে খাবারের স্বাদ থাকে অক্ষুন্ন ও দুর্গন্ধমুক্ত।

বিপণন কর্মকর্তাদের মতে, ৩২ হাজার ৯’শ টাকা থেকে ৩৫ হাজার ৯’শ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে ওয়ালটনের গ্লাস ডোর রেফ্রিজারেটর। দামে সাশ্রয়ী ও আকর্ষণীয় ডিজাইনের বলে ঈদ বাজারে গ্রাহকদের দৃষ্টি এখন ওয়ালটনের গ্লাস ডোর রেফ্রিজারেটরের দিকে।

নন-ফ্রস্টের নতুন মডেলের মধ্যে বাজারে এসেছে ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার প্রযুক্তির ৫টি রেফ্রিজারেটর। এর মধ্যে ৬০ হাজার ৯’শ থেকে ৬১ হাজার ৯’শ টাকার মধ্যে ছাড়া হয়েছে ৩ দরজা বিশিষ্ট ইনর্ভাটার প্রযুক্তির ফ্রিজ। নিঁখুত ফিনিশিং, আকর্ষণীয় ডিজাইন, ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ও ভেতরে পর্যাপ্ত জায়গা থাকায় ইতোমধ্যে গ্রাহক পর্যায়ে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে এসব ফ্রিজ।

পাশাপাশি ব্যাচেলররা ঝুঁকছেন ১৭ হাজার ৫’শ টাকা মূল্যের এক-দরজা বিশিষ্ট ওয়ালটনের ব্যাচেলর ফ্রিজের দিকে। হোটেল, রেস্টুরেন্ট, হাসপাতাল ও ব্যাচেলরদের ব্যবহার উপযোগী ছোট আয়তনের এসব ফ্রিজ বেশ চলছে।

ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক এবং ফ্রিজ গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী তাপস কুমার মজুমদার জানান, ফ্রিজের দরজায় ব্যবহার করা হয়েছে ৯-লেয়্যার ভিসিএম ডোর। এর ফলে সহজে মরিচা ও দাগ পড়ে না। ডোর হয় দীর্ঘস্থায়ী এবং উজ্জ্বল।

ওয়ালটনের রেফ্রিজারেটর মান নিয়ন্ত্রণ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী মো. তাহসিনুল হক বলেন, আন্তর্জাতিক মান যাচাইকারী সংস্থা নাসদাত ইউনিভার্সাল টেস্টিং ল্যাব থেকে ওয়ালটনের প্রতিটি ফ্রিজের মান নিশ্চিত করেই বাজারে ছাড়া হচ্ছে।

কর্তৃপক্ষ জানায়, ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার, ন্যানো হেলথ কেয়ার ও এন্টি ফাংগাল ডোর গ্যাসকেট প্রযুক্তির ব্যবহার, এক বছরের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি, কম্প্রেসারে দশ বছর পর্যন্ত গ্যারান্টি, সর্বোচ্চ ৩৬ মাসের সহজ কিস্তি সুবিধা, বিএসটিআই’র ফাইভ স্টার এনার্জি রেটিং, স্থানীয় আবহাওয়া উপযোগী করে দেশেই তৈরি হয় বলে গ্রাহকপ্রিয়তার শীর্ষে ওয়ালটনের ফ্রিজ।

ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক ও বিপণন বিভাগের প্রধান এমদাদুল হক সরকার বলেন, এবারের রোজায় দুই লাখেরও বেশি ফ্রিজ বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে ওয়ালটন। রমজানের প্রথম ১৩ দিনে বিক্রি হয়েছে ১ লাখ ২৫ হাজারের মতো। তার প্রত্যাশা, বিক্রির বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকলে টার্গেটের চেয়েও বেশি ফ্রিজ বিক্রি হবে।

এমদাদুল হক আরও জানান, ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে মে এই পাঁচ মাসের তুলনায় চলতি বছরের একই সময়ে প্রায় ৪৮ শতাংশ বেশি ফ্রিজ বিক্রি হয়েছে।

আইএসও সনদপ্রাপ্ত সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের আওতায় দ্রুত সর্বোত্তম সেবা পৌঁছে দিচ্ছে ওয়ালটন। সারাদেশে ৬৭ সার্ভিস সেন্টার চালু রয়েছে। আরও পাঁচটি জেলা শহরে নতুন সার্ভিস সেন্টার চালু হচ্ছে। এর বাইরে ৩০০ টিরও বেশি সার্ভিস পয়েন্টের মাধ্যমে গ্রাহকদের বিক্রয়োত্তর সেবা দিচ্ছে ওয়ালটন। যেখানে কাজ করছেন ২ হাজার ৫’শ প্রকৌশলী ও টেকনিশিয়ান।

জানা গেছে, ফ্রিজের বিক্রয়োত্তর সেবায় গ্রাহকদের হোম সার্ভিসও দিচ্ছে কোম্পানিটি। গ্রাহকরা যেকোনো মোবাইল থেকে ১৬২৬৭ নম্বরে কল দিয়ে বছরের ৩৬৫ দিনই পাচ্ছেন কাঙ্খিত সেবা। তথ্য প্রাপ্তির পর গ্রাহকের বাড়িতে দ্রুত পৌঁছে যাচ্ছে সার্ভিস প্রোভাইডার। ওয়ালটনের এই সেবা এরইমধ্যে গ্রাহকমহলে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। বিক্রয়োত্তর সেবায় খুব শিগগিরই অনলাইনভিত্তিক সেবাও চালু হতে যাচ্ছে।গ্রাহকরা ঘরে বসেই পণ্যটি কোন পর্যায়ে আছে এবং কখন ডেলিভারি হবে এসব বিষয় জানতে পারবেন।

ঢাকাটাইমস/১২জুন/এমআর

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
পাবনায় বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষ: মোটরসাইকেল ও অফিস ভাঙচুর, হাসপাতালে ভর্তি ৫
বিএনপি মানবিক বাংলাদেশ গড়তে চায়: আমিনুল হক 
অভ্যুত্থানের পর সরকারের কর্তব্য ছিল শিক্ষাখাতের সংস্কারে মনোযোগ দেওয়া: সাকি
৫ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে পুশ-ইন করেছে বিএসএফ 
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা