‘আ.লীগকে নেতৃত্ব শূন্য করতেই ২১ আগস্টের হামলা’

সিরাজগঞ্জ-২ (সদর-কামারখন্দ) আসনের সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের হত্যা করে দলকে নিশ্চিহ্ন করাই ছিল ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার মূল লক্ষ্য। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা দেশে না থাকায় ষড়যন্ত্রকারীদের অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করতেই বারবার শেখ হাসিনাকে টার্গেট করা হচ্ছে।’
শুক্রবার বাদ আসর সিরাজগঞ্জ শহরের শহীদ এম. মনসুর আলী অডিটোরিয়ামে ‘১৭ আগস্ট সিরিজ বোমা হামলা দিবস, ২১ আগস্ট নারকীয় গ্রেনেড হামলা দিবস’ উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার আয়োজনে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন।
সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন- জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কে.এম হোসেন আলী হাসান, বিমল কুমার দাস, মোস্তফা কামাল খান, ইসহাক আলী, সাবেক সংরক্ষিত নারী সাংসদ সেলিনা বেগম স্বপ্না, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক ও উপজেলা চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি হেলাল উদ্দিন, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার পারভেজ লিমন প্রমুখ।
মাহফিলে মোনাজাত পরিচালনা করেন সিরাজগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস জামে মসজিদের খতিব ও পেশ ইমাম মাওলানা শহিদুল আলম।
এ সময় ডা. মিল্লাত আরও বলেন, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজনীতির ইতিহাসের রক্তাক্ত ও কলঙ্কিত অধ্যায়। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পরে যেভাবে জেলখানায় জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করে আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশকে নেতৃত্বশূন্য করার অপচেষ্টা করা হয়েছিল, ২১ আগস্টেও একই উদ্দেশ্য ছিল খুনি চক্রের। ওই দিন স্রষ্টার অশেষ রহমতে শেখ হাসিনা প্রাণে বেঁচে যান। সেদিন যা ঘটেছিল, তা বাংলাদেশের রাজনীতিতে সবচেয়ে নৃশংস ও নিকৃষ্টতম অধ্যায়। সেই ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার দেড় দশক পেরিয়ে গেলেও সেই বিকেলের রক্তের ক্ষত প্রতিটি মানুষের মনে এখনও দগদগে।
এর আগে দিবসটি উপলক্ষে ভোরে সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, কালো পতাকা উত্তোলন; জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত আইভী রহমানসহ অন্যদের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে দোয়া মাহফিল করা হয়।
(ঢাকাটাইমস/২১আগস্ট/এলএ)

মন্তব্য করুন