গরুর লাথি-শিংয়ের গুতা ও অস্ত্রের আঘাত, আহত অনেকে আসছেন হাসপাতালে

রাজধানীসহ সারাদেশে যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য এবং আনন্দ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আজহা। শনিবার সকালে নামাজের পর শুরু হয় পশু কোরবানি। অনেকে আগে থেকে কসাই প্রস্তুত রেখেছিলেন। আবার অনেকে শখের বসে নিজের কোরবানির পশু কাটাকাটি করেছেন।
অভিজ্ঞতা না থাকায় অনেক সময় পশুর চামড়া ছাড়াতে কিংবা মাংস কাটতে গিয়ে ধারালো ছুরি-চাকুর আঘাতে আহত হয়েছেন অনেকে। আবার পশু জবাইয়ের প্রস্তুতি এবং শিংয়ের আঘাতে অনেকে আহত হন। এমন নানাভাবে আহত ব্যক্তিরা চিকিৎসা নিতে ছুটে গেছেন হাসপাতালে। প্রতিবছর ঈদুল আজহার দিন পশু জবাই করার সময় অসাবধানবশত ধারালো অস্ত্রের আঘাতে বহু লোকজনের আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে।
পশু কোরবানির সময় আহত হয়ে সকাল থেকে শুধু পঙ্গু হাসপাতালেই চিকিৎসা নিয়েছেন অর্ধ-শতাধিক রোগী। কারও হাতের আঙুল, কারও বা পায়ে লেগেছে ধারালো ছুরির কোপ। অনেকের রগ পর্যন্ত কাটা পড়েছে। শুধু রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতাল না, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মুগদা মেডিকেল কলেজসহ বিভিন্ন হাসপাতালে— কাটা ছেঁড়া রোগীরা চিকিৎসা নিতে আসছেন।
সকাল থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত এভাবে আহত ৭৭ জন ব্যক্তি ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন। জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. মুশতাক আহমেদ জানান, রাজধানী ও আশপাশের এলাকা থেকে কোরবানি দিতে গিয়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হয়ে ৭৭ জন হাসপাতালে এসেছেন। এদের মধ্যে তিনজনকে ভর্তি করা হয়েছে।
চিকিৎসকরা বলছেন— পশু কোরবানির এ মৌসুমে পর্যাপ্ত কসাইয়ের স্বল্পতায় অনেকেই পারদর্শী না হলেও কসাইয়ের কাজে লেগে পড়ে। যার ফলে পড়তে হয় দুর্ঘটনায়। এদের মধ্যে কেউ কেউ এসেছেন পশু কোরবারির সময়ে পশুর আঘাতে হাত বা পায়ের আঘাত নিয়ে। যারা হাসপাতালে আসছেন তাদের বেশিরভাগই অনভিজ্ঞ। দক্ষতা না থাকলেও তারা মৌসুমি এ কাজে যোগ দিয়েছেন। এসব ব্যাক্তিদের এই ধরণের কাজে না আসার পরামর্শ চিকিৎসকদের।
(ঢাকাটাইমস/০৭জুন/এসএস/এসএ)

মন্তব্য করুন