অপরিকল্পিত সংস্কার কাজে আঞ্চলিক সড়কের বেহাল অবস্থা

নিজস্ব প্রতিবেদক,টাঙ্গাইল
 | প্রকাশিত : ২৪ আগস্ট ২০২০, ১৩:০৯

টাঙ্গাইল-দেলদুয়ার আঞ্চলিক সড়কটি প্রতিদিন দেলদুয়ারসহ মির্জাপুর, নাগরপুর, মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া ও ধামরাই উপজেলার লক্ষ লক্ষ মানুষ ব্যবহার করছে। ১২ কিঃ মিঃ এ সড়কের প্রশস্থতা বৃদ্ধি ও সংস্কার কাজ চলমান। তবে অপরিকল্পিত কাজ হচ্ছে সড়কের পাথরাইল বাজারের অংশটিতে। প্রায় ছয়মাস ধরে এই অংশের ইট তুলে রাখার পর কাজ বন্ধ রয়েছে। ফলে অল্প বৃষ্টিতেই কাঁদা-পানিতে নাজুক অবস্থা হয় এ অংশটুকুর। এতে যান চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়ে। ফলে প্রতিদিনই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা।

জানা গেছে, জেলার সঙ্গে দক্ষিণ টাঙ্গাইলের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম এ সড়কটি দেলদুয়ার থেকে পাকুল্যা হয়ে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে মিলেছে। অন্যদিকে দেলদুয়ার থেকে পাকুটিয়া হয়ে মানিকগঞ্জের সঙ্গে মিলেছে। মিলেছে নাগরপুরের সঙ্গেও। গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটির স্থায়ী সংস্কারের কথা বললেও জনপ্রতিনিধি বা স্থানীয় প্রশাসনের কেউ আমলে নিচ্ছে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

এদিকে পাথরাইল বাজার একটি ব্যস্ততম শিল্প এলাকা। বাজারের এই দুইশ মিটার সড়ক ঢালাই হচ্ছে, হবে বলে গত ছয়মাস ধরে এভাবে পড়ে আছে। এতে সড়কটির বেহাল দশায় এখানকার ব্যবসায়ীরা চরম ভোগান্তিতে পড়ে। এছাড়া পাথরাইলে বসে প্রতিদিনের বাজার। সারাদিনের এই বাজারের পণ্য আনা-নেওয়া ও কেনা-বেচা করতে ব্যবসায়ীরাও পড়ছেন ভোগান্তিতে। পুরো বাজারে পায়ে হাঁটার মতো অবস্থাও নেই।

ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারের এই অল্প জায়গাটুকুর ইট তুলে নেওয়ায় চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন তারা। খানখন্দে মালবাহী লরি উল্টে অনেক ব্যবসায়ীর মালামাল ক্ষতি হয়েছে বলেও জানান তারা। খুব দ্রুত সংস্কারসহ এবং দুপাশে ড্রেনেজ ব্যবস্থার উদ্যোগ নেবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এমনটাই আশা তাদের।

যানচালকরা জানান, পাথরাইল বাজারের বেহাল দশায় প্রতিনিয়ত অটো-রিকশা-সিএনজি উল্টে দুর্ঘটনা হচ্ছে। সড়কটিতে সব ধরণের যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। দ্রুত সড়কটির সংস্কারের দাবি জানান তারা।

এ বিষয়ে দেলদুয়ার সড়ক বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান জানান, টাঙ্গাইল-দেলদুয়ার সড়কের ১২ কিলোমিটার অংশ উন্নয়নে ৪২ কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ চলছে। সড়কটির বেশি অংশের কাজ শেষ হলেও বাজারের দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে তিনি জানান, শিগ্রই এর কাজ শুরু হবে।

টাঙ্গাইল সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান জানান, পাথরাইল বাজার অংশটুকুতে কনক্রিট প্যাড (পাথর ঢালাই) করতে নতুন করে অনুমোদনের আবেদন করা হয়েছে। অনুমোদন পেলেই কাজ ধরা হবে। তবে দুর্ভোগ কমাতে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে অস্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/২৪আগস্ট/পিএল)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :