মাদারীপুরে ব্রয়লার মুরগির দাম ২৫০ টাকা ছাড়িয়েছে

মাদারীপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ১৬ মার্চ ২০২৩, ১১:০১| আপডেট : ১৬ মার্চ ২০২৩, ১১:৫১
অ- অ+

গেল সপ্তাহেও প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হতো ২৩০ টাকায়। কিন্তু সপ্তাহের ব্যবধানে কেজি প্রতি ২০ টাকা বেড়ে ২৫০ টাকা ছাড়িয়ে গেছে ব্রয়লার মুরগি। মূল্য বৃদ্ধির এ হারে একদিকে যেমন ক্রেতারা হতাশ, তেমনি লোকসানে পড়ছেন খুচরা বিক্রেতারাও। মাদারীপুর শহরের ইটেরপুল, পুরানবাজার, চৌরাস্তা বাজার, চরমুগরিয়া বাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

বাজারে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা, দেশি মুরগি ৫২০ টাকা, সোনালি ৩৩০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া গরুর মাংস প্রতি কেজি ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা করে ও খাসির মাংস ১ হাজার থেকে ১১০০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগির দাম নিয়ে ক্রেতারা বলছেন, মুরগির বাজারে চরম বিশৃঙ্খলা চলছে। সপ্তাহ শেষ হলেই কেজি প্রতি ২০ টাকা দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। কেউ দেখার নেই, কেউ কিছু বলছে না। এদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন, দাম বাড়ার কারণে তারাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তাদের বেচা-কেনা অনেক কমেছে এখন।

মাদারীপুর পৌর শহরের চৌরাস্তা বাজারের ব্রয়লার মুরগি বিক্রেতা মনির হোসেন বলেন, ‘ব্রয়লার মুরগির বাজার খুব অস্থির। প্রতি সপ্তাহেই দাম বেড়ে যাচ্ছে। এর ফলে গত এক মাস ধরে আমাদের বিক্রিও অনেক কমে গেছে। আগে মুরগির কারণে দোকানে লাইন থাকতো, এখন অর্ধেক মুরগিও বিক্রি হয় না। ফলে আমাদের লাভ আগের চেয়ে কমে গেছে। বিক্রি বেশি হলে লাভও বেশি হয়।’

পুরানবাজার মুরগির বিক্রেতা মতিয়ার হোসেন বলেন, ‘খাবারের দাম, গাড়ি ভাড়া বৃদ্ধিসহ নানা কারণে দাম বাড়ছে বলে দাবি করছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা। এখন আমরাও নিরুপায় হয়ে বেশি দামে কিনে এনে বাড়তি দামেই বিক্রি করছি। কিন্তু দাম বেড়ে যাওয়ায় আমাদেরও কিন্তু বিক্রি কমেছে। আমাদের ক্ষতিই বেশি হচ্ছে।’

একই বাজারে আসা ক্রেতা বোরহান উদ্দিন বলেন, ‘আমার বাসায় গত এক মাস ধরে ব্রয়লার মুরগি নেওয়া বন্ধ। দামের কারণে গরু, খাসি কিংবা দেশি মুরগির মাংস তো অনেক আগে থেকেই বাসায় নেওয়া বন্ধ। একটু ব্রয়লার মুরগি আগে নেওয়া যেতো সেটাও এখন বন্ধ। এই দাম নিয়ে আমাদের কিছু বলার নাই। সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। এটা খুবই দুঃখজনক বিষয়।’

আসন্ন রমজান মাসে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিপ্রতি ৩০০ টাকা হতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন পৌরসভা বাজারে বাজার করতে আসা ক্রেতা বাবুল চৌকিদার। তিনি বলেন, ব্রয়লার এখন ২৫০ টাকা, দেখব রোজার মাসে ৩০০ টাকা হয়ে গেছে। দাম বাড়ুক সমস্যা নাই, ব্রয়লার মুরগি আর বাসায় নিবো না। এভাবে হুট-হাট যে যেভাবে পারছে দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো তদারকি করতে কখনো দেখা যায়নি। এবার রমজানে সাধারণ মানুষের খুবই কষ্টে দিন কাটবে। তাই সরকারের এব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়া দরকার।’

এ ব্যাপারে মাদারীপুর কৃষি বিপণন কর্মকর্তা বাবুল হোসেন বলেন, ‘রমজানে যাতে বাড়তি দাম না নেয়, সে বিষয় আমাদের কঠোর নজরদারি রয়েছে। যদি কেউ অতিরঞ্জিত দাম নিয়ে থাকেন, তাহলে কেউ অভিযোগ দিলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

(ঢাকাটাইমস/১৬মার্চ/এআর)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
জয়পুরহাটে গরু চোরাচালান ঠেকাতে সীমান্তে কঠোর অবস্থানে বিজিবি
নীলফামারীতে ইটবোঝাই ও বালুবোঝাই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১
হত্যাচেষ্টা মামলায় কারাগারে নুসরাত ফারিয়া
আদালতে নুসরাত ফারিয়া, রাখা হলো হাজতখানায়
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা