যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশের উদ্যোগে গ্রামীণ কিশোর-কিশোরীদের পুষ্টি বিষয়ক ক্ষমতায়ন ঘটছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৩ মে ২০২৩, ২১:২৯

ইউএসএআইডি’র ফিড দ্য ফিউচার বাংলাদেশ নিউট্রিশন অ্যাক্টিভিটি “উন্নত পুষ্টি, নিরাপদ পানি ও স্বাস্থ্যবিধি আচরণ উন্নয়নের জন্য কিশোর-কিশোরীদের ক্ষমতায়ন” শীর্ষক এক জাতীয় কর্মশালার আয়োজন করে।

বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

ফিড দ্য ফিউচার বাংলাদেশ নিউট্রিশন অ্যাক্টিভিটি ইউএসএআইডি’র অর্থায়নে পরিচালিত একটি প্রকল্প যা অ্যাবটঅ্যাসোসিয়েটস দ্বারা বাস্তবায়িত হচ্ছে। এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য হল গ্রামীণ পরিবারের সদস্যদের, বিশেষ করে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু, গর্ভবতী, বুকের দুধ খাওয়াচ্ছেন এমন নারীদের এবং কিশোর-কিশোরীদের পুষ্টি পরিস্থিতির উন্নতি সাধন। তাই, নিউট্রিশন অ্যাক্টিভিটি গ্রামীণ মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে জীবন দক্ষতা উন্নয়ন, নেতৃত্ব এবং অ্যাডভোকেসি করার দক্ষতা, লিঙ্গ সমতা, পুষ্টি, স্বাস্থ্য এবং স্বাস্থ্যবিধি বিষয়ে শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে কিশোর ও কিশোরীদের উৎকর্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে আসছে ।

এপ্রিল ২০২১ থেকে ফিড দ্য ফিউচার বাংলাদেশ নিউট্রিশন অ্যাক্টিভিটি সাতটি জেলার ৮০টি স্কুলের সাথে কাজ করছে। ডিসেম্বর ২০২২ পর্যন্ত ১৬০ জন স্কুল শিক্ষক এবং ১৭,৮৯৭ জন কিশোর-কিশোরীদের পুষ্টি ও স্বাস্থ্যবিধি বিষয়ক জ্ঞান বাড়ানোর লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। এই প্রশিক্ষিত কিশোর-কিশোরীদের মাধ্যমে আরও ১৩,০০০ মানুষকে উন্নত পুষ্টি ও নিরাপদ স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে সচেতন করা হয়েছে।

কিশোর-কিশোরীদের ক্ষমতায়নের উদ্যোগটিকে আরও বেশি সংখ্যক জেলা ও বিদ্যালয়ে সম্প্রসারণ করার প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে জাতীয় এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়। কর্মশালায় ফিড দ্য ফিউচার বাংলাদেশ নিউট্রিশন অ্যাক্টিভিটি, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর-এর সহায়তায় এবং বেসরকারি খাতের প্রতিষ্ঠানসমূহের সাথে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে গ্রামীণ স্কুলগুলির সাথে কাজ করার যে মডেল বাস্তবায়ন করেছে তা উপস্থাপন করে। মডেলটি শুধু স্বল্পমেয়াদী পুষ্টি এবং নিরাপদ স্বাস্থ্যবিধির আচরণগুলিকে নিশ্চিত করে না বরং স্কুল এবং কমিউনিটির দীর্ঘমেয়াদী সক্ষমতা গড়ে তোলার মাধ্যমে একটি টেকসই কাঠামো তৈরি করে যা স্বাস্থ্যকর আচরণ অনুসরণের প্রচার অব্যাহত রাখে।

এছাড়াও একটি প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয় যেখানে সরকারি, বেসরকারি খাত এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা কিশোর-কিশোরী এবং গ্রামীণ স্কুলগুলোর বিদ্যমান বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের সম্ভাব্য সমাধান নিয়ে আলোচনা করেন।

কর্মশালায় প্রধান অতিথি, ইউএসএআইডি এবং অ্যাবট অ্যাসোসিয়েটসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বক্তৃতা দেন এবং অনুষ্ঠান চলাকালীন তাদের মতামত তুলে ধরেন।

কর্মশালার প্রধান অতিথি পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম গ্রামীণ স্কুলগুলোকে শক্তিশালী করার জন্য সরকার এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সাথে ইউএসএআইডি’র প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, "এই ধরনের উদ্যোগ শুধু দেশের এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়তা করবে না বরং ভবিষ্যতের বুদ্ধিদীপ্ত ও সুস্থ নেতা তৈরি করবে যারা দেশকে বৃহত্তর সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যাবে।"

ইউএসএআইড’র ইকোনমিক গ্রোথ অফিসের পরিচালক মুহাম্মদ খান বলেন, "বিভিন্ন সেক্টরের স্টেকহোল্ডারদের একত্রিত করার মাধ্যমে আমরা টেকসই মডেলের বাস্তবায়নকে উৎসাহিত করি যা পুষ্টি এবং স্বাস্থ্যবিধির ফলাফলগুলিকে শক্তিশালী করতে পারে এবং গ্রামীণ কিশোর-কিশোরীদের এবং তাদের পরিবারের জীবনে দৃশ্যমান পরিবর্তন আনতে পারে ।"

ফিড দ্য ফিউচার বাংলাদেশ নিউট্রিশন অ্যাক্টিভিটির মুখপাত্র এবং অ্যাবট অ্যাসোসিয়েটসের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যালিসন বেয়ার বলেন, "আমরা বিশ্বাস করি যে শিক্ষা ও সচেতনতার মাধ্যমে কিশোর-কিশোরীদের ক্ষমতায়ন গ্রামীণ বাংলাদেশে পুষ্টি এবং স্বাস্থ্যবিধি আচরণের উন্নতির চাবিকাঠি।"

(ঢাকাটাইমস/০৩মে/এমএইচ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

স্বাস্থ্য বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :