তামাক নিয়ন্ত্রণে ডিএনসিসির বরাদ্দকৃত বাজেট বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপের আশ্বাস

তামাক নিয়ন্ত্রণে ডিএনসিসির বরাদ্দকৃত বাজেট বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী।
তিনি বলেন, জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় ও পরোক্ষ ধূমপানের ক্ষতি থেকে সাধারণ মানুষকে রক্ষায় ও শতভাগ ধূমপানমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে ডিএনসিসির প্রতি অর্থবছরের বরাদ্দকৃত বাজেট বার্ষিক পরিকল্পনার মাধ্যমে যথাযথ ব্যয় নিশ্চিত করা হবে।
বুধবার ডিএনসিসির সভা কক্ষে ঢাকা আহছানিয়া মিশন ও ডিএনসিসির যৌথ আয়োজনে ‘তামাক ও ধূমপানমুক্ত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন গঠনে করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির উপ-প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ইমদাদুল হক, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মাহমুদা পলি, ডা. ফিরোজ আলম, ঢাকা আহছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদসহ ডিএনসিসির উর্দ্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ। এ সময় সভার উদ্দেশ্য সম্পর্কে বক্তব্য দেন ঢাকা আহছানিয়া মিশনের সহ-সভাপতি ডা. মোহাম্মদ খলিলউল্লাহ।
সভায় মূল প্রবন্ধে ঢাকা আহছানিয়া মিশনের তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের সমন্বয়কারী শরিফুল ইসলাম জানান, গ্লোবাল এডাল্ট টোব্যাকো সার্ভে (গ্যাটস) ২০১৭ অনুযায়ী, দেশে প্রায় ৩ কোটি ৭৮ লাখ মানুষ তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার করে, ১ কোটি ৯২ লাখ মানুষ ধূমপান করে এবং প্রায় ৪ কোটি মানুষ ধূমপান না করেও পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হচ্ছে। গ্যাটস ২০১৭ এর তথ্য অনুযায়ী, পরোক্ষ ধূমপানের এ হার ৪২.৭ শতাংশ। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে আইন সম্পর্কে সচেতনতা কম, তামাকজাত পণ্যের ব্যাপক প্রচারণা, তামাকজাত দ্রব্যের সহজলভ্যতা এবং সর্বোপরি আইনের সঠিক ও যথাযথ বাস্তবায়ন না হওয়া এবং তামাক কোম্পানির কূটকৌশল ইত্যাদি।
অনুষ্ঠানে বক্তারা জানান, কর্মক্ষেত্রে যত্রতত্র ধূমপানের চিত্র দেখতে পাওয়া যায়, ফলে ধূমপান না করেও পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হচ্ছেন অনেকেই। পরোক্ষ ধূমপানের ক্ষতি থেকে সবাইকে রক্ষা করতে কর্মক্ষেত্রকে শতভাগ ধূমপানমুক্ত রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।
প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে ডিএনসিসি’র আওতাধীন বাসস্ট্যান্ড, রেস্টুরেন্টসহ পাবলিক প্লেসগুলোতে ধূমপান বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
কর্মক্ষেত্র ও আশেপাশের এলাকা ধূমপানমুক্ত রাখতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান ও ধূমপানমুক্ত সাইনেজ লাগানো এবং ডিএনসিসি'র সকল কার্যালয়কে শতভাগ ধূমপান ও স্মোকিং জোনমুক্ত রাখতে সক্রিয় ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান বক্তারা।
পাশাপাশি, তামাকের বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ হলেও তামাক কোম্পানি সুকৌশলে বিক্রয়কেন্দ্রগুলি ব্যবহার করছে বিজ্ঞাপন প্রচারের কাজে যেটা বন্ধ হওয়া উচিত। ডিএনসিসির আওতাধীন মার্কেট, পাবলিক প্লেস ও বিপণন কেন্দ্রগুলোতে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের লঙ্ঘন বন্ধ করতে জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণের পরামর্শ দেন বক্তারা।
(ঢাকা টাইমস/২৮মে/এসএস/এসএ)

মন্তব্য করুন