আইপিএল ইতিহাসে লজ্জার রেকর্ড গড়লেন আফগান লেগ স্পিনার রশিদ খান

আধুনিক টি-টোয়েন্টির অন্যতম বড় ভরসার নাম রশিদ খান। কার্যকরী একজন লেগ স্পিনার হিসেবে তার কদর বরাবরই বেশি। যদিও চলতি আসরে এখন পর্যন্ত নিজের নামের সুবিচার করা হয়নি আফগানিস্তানের এই বোলারের। গুজরাট টাইটান্স দল হিসেবে দারুণ ছন্দে থাকলেও রশিদ ছিলেন মলিন। ব্যাটে কিংবা বলে, চেনা সেই রশিদকে মিস করেছে গুজরাট টাইটান্স।
উইকেটশিকারির তালিকায় রশিদের নাম খুঁজে পাওয়া যাবে ৩৫তম স্থানে। নিজের শেষ ম্যাচেই লখনৌর বিপক্ষে পুরো কোটারে বোলিং শেষ করতে পারেননি। ইকোনমি কিংবা গড়টাও খুব একটা পক্ষে নেই তার। আইপিএলের চলতি আসরে গুজরাট টাইটান্স দল হিসেবে দারুণ ছন্দে থাকলেও ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে অনুজ্জল রশিদ খান। ব্যাটে বলে প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স করতে পারেননি এই তারকা অলরাউন্ডার। রোববারের ম্যাচে চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে ম্যাচে পুরো কোটা শেষ করতে পারলেও বোলিং ফিগারটা একেবারেই রশিদ-সুলভ হয়নি।
ডেভন কনওয়ের উইকেট পেলেও ৪ ওভারে খরচ করছেন ৪২ রান। ছক্কা হজম করেছেন ৩টি। আর সেটাই রশিদ খানকে বসিয়েছে বিব্রতকর এক রেকর্ডে। চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত ৩১ ছক্কা হজম করেছেন তিনি। আইপিএলে এক আসরে সবচেয়ে বেশি ছক্কা হজমের রেকর্ড এখন এটাই। মৌসুমের আরও বাকি আছে অন্তত ১ ম্যাচ। রশিদের নামের পাশে সংখ্যাটা তাই বাড়বে তা বলাই বাহুল্য।
অবশ্য এই রেকর্ড তার একক নয়। গুজরাটে তারই সতীর্থ মোহাম্মদ সিরাজ এক মৌসুমে এর আগে হজম করেছিলেন ৩১ ছক্কা। ২০২২ সালে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর জার্সিতে বিব্রতকর এই রেকর্ড গড়েছিলেন ভারতীয় এই পেসার।
আইপিএলে এক আসরে ৩০ ছক্কা হজমের নজির আছে আর কেবল দুজনের। ২০২৪ সালে ভারতের স্পিনার যুজবেন্দ্র চাহাল এবং ২০২২ সালে লংকান স্পিনার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা হজম করেছিলেন বিব্রতকর এই রেকর্ড। সবচেয়ে বেশি ছয় হজমের দিক থেকে ৫ম স্থানে আছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ডোয়াইন ব্রাভো। ২০১৮ সালে হজম করেছিলেন ২৯ ছক্কা।
তবে অনেকটাই নিশ্চিত যে রশিদের জন্য সংখ্যাটা বেড়েই চলেছে। এখনো প্লে-অফের খেলা বাকি আছে তার দলের সামনে। এখন দেখার বিষয় আফগান এই স্পিনারের পারফরম্যান্স ঠিক কেমন হয়।
(ঢাকাটাইমস/২৬ মে/আরজেড)

মন্তব্য করুন