করতেন বিএনপি, ফের আ.লীগ থেকে এমপি হওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ ডিপজলের

তিনি চলচ্চিত্রে এসে ভিলেন রূপটাই যেন বদলে দিয়েছিলেন। আটপৌরে ঢঙে অনেকটা ঢাকাইয়া ভাষার আমেজে তার ডায়ালগ চলচ্চিত্র দর্শকদের আনন্দের খোরাক জোগাতো। ফলে ভিলেন হয়েও নায়কের মতো জনপ্রিয়তা পেয়ে যান। সেই ডিপজল বহুদিন ধরে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য হওয়ার স্বপ্নে বিভোর।
একাধিক বার নিজের এই ইচ্ছার কথা জানিয়েছেনও। চেষ্টা-তদবিরও কম করেননি। কিন্তু আওয়ামী লীগ ডিপজলের দিকে তাকাননি। তাতে হাল ছাড়েননি অভিনেতা। তাই তো আরও একবার তিনি নৌকার মাঝি হওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করলেন। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে সম্প্রতি নিজের ইচ্ছার কথা জানান ডিপজল।
অভিনেতা বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে সিদ্ধান্ত নেবেন, আমি তা মেনে নেব। তিনি যেখান থেকে আমাকে মনোনয়ন দেবেন, আমি সেখান থেকেই নির্বাচন করব। সারাদেশের মানুষ আমাকে চেনেন, জানেন এবং ভালোবাসেন। আমার বিশ্বাস, আমি নির্বাচন করলে তারা অবশ্যই আমাকে ভোট দেবেন। নির্বাচিত হয়ে আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আসনটি উপহার দিতে চাই।’
ডিপজল আরও বলেন, ‘আমি শুরু থেকেই চলচ্চিত্রের মানুষদের পাশে থেকে কাজ করেছি। সাধারণ মানুষ আমার কাছে এলে, তাদের পাশে দাঁড়ানোরও চেষ্টা করি। আমি আরও বেশি মানুষের পাশে দাঁড়াতে চাই। তাদের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতে চাই।’
এর আগে ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের টিকিটে নির্বাচনের ইচ্ছাপ্রকাশ করেন ডিপজল। মনোনয়ন চান ঢাকা-১৪ আসন থেকে। কিন্তু আওয়ামী লীগ থেকে এই আসনে মনোনয়ন দেয়া হয় সাবেক সংসদ সদস্য আসলামুল হককে।
এরপর ২০২১ সালের ৪ এপ্রিল আসলামুল হক মারা গেলে সেই শূন্য আসনের উপনির্বাচনেও আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন ডিপজল।
সে সময় আসলামুল হককে ঘনিষ্ঠ বন্ধু দাবি করে ডিপজল বলেন, ‘আসলামুল হক আমার ছোটবেলার বন্ধু। আমার সঙ্গে ‘তুই তুই’ সম্পর্ক। ওর অসমাপ্ত কাজগুলো সম্পন্ন করতে চাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি আমাকে ঢাকা-১৪ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেন, এলাকার মানুষের সেবা করার সুযোগ দেন, তাহলে আমি নির্বাচনে প্রার্থী হতে আগ্রহী।’
কিন্তু সে বারও আওয়ামী লীগ থেকে কোনো সাড়া পাননি ডিপজল। উল্টো খবর রটে যায়, ডিপজল একসময় বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। এই দলের ব্যানারে ১৯৯৪ সালে ঢাকার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরও নির্বাচিত হয়েছিলেন। সেই ডিপজল কী করে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চান, এমন প্রশ্নও উঠেছিল জোরেশোরে।
তবে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার খবরকে উড়িয়ে দিয়ে ডিপজল সে সময় দাবি করেছিলেন, ‘আমি কোনো কালেই বিএনপি ছিলাম না। আমাকে বিএনপি বানিয়ে রাখা হয়েছিল। বিএনপির কোথাও আমার নাম নেই। আমার প্রথম দল আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের পক্ষেই নির্বাচনে অংশ নিতে চাই।’
এছাড়া তিনি বিএনপির মনোনয়নে নয় বরং ১৯৯৪ সালের ঢাকার ৯ নং ওয়ার্ড থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছিলেন বলেও দাবি করেন ডিপজল। তার আরও দাবি ছিল, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে কাউন্সিলর হয়েছিলাম বলেই আমি এত জনপ্রিয়।’ সেই ডিপজলের বহুদিনের ইচ্ছা, আওয়ামী লীগের টিকিটে এমপি হওয়া। পূরণ হবে কি?
(ঢাকাটাইমস/১৬জুন/এলএম/এজে)

মন্তব্য করুন