প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় থাকতে পারবে না বলেই এত উতলা হয়েছেন: দুদু

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৬:৩৫ | প্রকাশিত : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৬:০১

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, আমরা বুঝি আপনি আর ক্ষমতায় থাকতে পারছেন না। এই জন্য এত উতলা হয়েছেন। কারণ ক্ষমতায় না থাকলে যেসব অপকর্ম করেছেন তার জবাবদিহিতা তো করতে হবে।

তিনি বলেন, ‘বেগম জিয়া কিছুই করে নাই তাতেই আপনি তাকে পাঁচ বছর ধরে জেলে ঢুকিয়ে রেখেছেন। আমাদের ইলিয়াস নাই, চৌধুরী আলম নাই, প্রায় ৬০০ থেকে ৭০০ জন গুম হয়েছে, এর জবাব তো দিতে হবে।’

রবিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির স্বাধীনতা হলে জিয়া প্রজন্ম দলের উদ্যোগে নিরপেক্ষ নির্বাচন ‘এক দফা দাবি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও দেশনায়ক তারেক রহমানের কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা কিন্তু ওনারা দুজন এখনো কারামুক্ত নয়। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ৫ বছর যাবত কারাবন্দি, তারেক রহমান ১৭ বছর ধরে নির্বাসিত জীবনযাপন করছেন।’

তিনি বলেন, ‘শুধু সারাদেশের গণতন্ত্র নয়, সারা বিশ্বের গণতন্ত্রের কথা বললে বেগম জিয়ার কথা চলে আসে। এরকম একজন মানুষ পৃথিবীতে খুঁজে পাওয়া বিরল। যিনি এই বয়সে এসে সবকিছু বাদ দিয়ে গণতন্ত্রের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন। বেগম খালেদা জিয়ার ওপর এত অত্যাচার এত মামলা নির্যাতন যে ভারতের মহাত্মা গান্ধীর ওপরেও এরকম হয়নি।’

ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, ‘এক অদ্ভুত দেশ বাংলাদেশ। যে দেশের জন্য দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার স্বামী স্বাধীনতার ঘোষণা করেছেন, রণাঙ্গনে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন, তিনি (বেগম জিয়া) নয় মাস কারাবন্দি ছিলেন। তিনবারের প্রধানমন্ত্রী। একটি ঠুনকো মিথ্যা মামলায় প্রথমে তাকে পাঁচ বছর পরে ১০ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ক্ষমতার লোভে মানুষ কত নিচে নামতে পারে, কত উপহাসের পাত্র হতে পারে।’

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সেলফির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘একটা সেলফির জন্য পিছনে পিছনে ঘুরা। মানে ছেলেপেলেরা যা করে। যুবক-যুবতীরা যা করে। একটা দেশের প্রধানমন্ত্রী ছবি নেওয়া ও প্রকাশ করা কতটা গুরুত্ব দিচ্ছে। এটা নিয়ে তার সাধারণ সম্পাদক (ওবায়দুল কাদের) বলেছেন বিএনপি নাকি কষ্ট পাচ্ছে। এগুলো নিয়ে কেউ কেউ (ওবায়দুল কাদের) সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারে। এই ধরনের কথাবার্তা মানে সরকার কতটা রাজনৈতিক দেউলিয়া হয়ে পড়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের সরকারপ্রধান আমেরিকার রাষ্ট্রপতির সঙ্গে পাশাপাশি বসবেন দুদেশের পতাকা থাকবে তাহলে তো বুঝা যাবে। যেভাবে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বসেছে। কিন্তু মোদির সঙ্গে বসে কোনো লাভ হয়নি। তারপরেও বসেছে তো। ওই ধরনের একটা ছবি দিতেন। সেলফি তুলবেন কেন? এরকম ইয়ার্কি মারা সরকারপ্রধানের ছবি এর আগে এ দেশবাসী দেখেনি। এটা দেশকে, দেশের মানুষকে ছোট করা হয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘সরকার পুলিশসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরকে পারলে প্রতিদিন করে একটা করে প্রমোশন দেন। এর জবাব তো দিতে হবে। সুপ্রিম কোর্টে নির্বাচনের নামে যা করলেন গুন্ডামির একটা সীমা থাকে। আইন আদালতকে দলীয়করণ করেছেন।’

কৃষকদলের সাবেক এই আহবায়ক বলেন, ‘আমাদের লড়াই এখন শেষ প্রান্তে এসে পৌঁছেছে। এই লড়াইয়ে জিততে হবে। এর কোনো বিকল্প নাই। কোনোভাবে এই সরকারকে ছাড় দেওয়ার পথ নাই। এই লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে আমরা বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করব। এবং তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনব এবং কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করব।’

আয়োজক সংগঠনের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট পারভিন কাওসার মুন্নির সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ফরিদা ইয়াসমিন, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, সংগঠনের সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার শরিফুল ইসলাম, মহাসচিব মো. সোহরাব হোসেন রুবেল, জাতীয়তাবাদী গণতন্ত্র পরিষদের সভাপতি মোক্তার আখন্দ প্রমুখ।

(ঢাকাটাইমস/১০সেপ্টেম্বর/জেবি/ডিএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :