জাতীয় ঋণের বোঝা বৃদ্ধির বাজেট: খেলাফত মজলিস

জাতীয় সংসদে উত্থাপিত ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে ঋণনির্ভর ও অবাস্তব আখ্যায়িত করেছে খেলাফত মজলিস।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী কর্তৃক উত্থাপিত ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে গণবিরোধী বাজেট হিসেবে অভিহিত করে খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেন, ঋণনির্ভর এ বিশাল ঘাটতি বাজেটে সাধারণ জনগণের কোন ফায়দা হবে না।
এক যৌথ বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত এ বাজেটে ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকার বিশাল অংকের ঘাটতি রয়েছে। এ ঘাটতি মেটাতে দেশ-বিদেশ থেকে চড়া সুদে ঋণ নিতে হবে সরকারকে। বিশেষ করে দেশীয় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে সরকার ১ লাখ ৬০ হাজার ৯০০ কোটি টাকা ঋণ নিবে। এতে বেসরকারি ও ব্যক্তিগত খাতে বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হবে। বিদেশ থেকে ঋণ নেয়া হবে ১ লাখ ২৭ হাজার ২০০ কোটি টাকা। বাজেট ব্যয়ের বিশাল অংশ খরচ হবে ঋণের সুদ পরিশোধে অর্থাৎ ১ লাখ ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা যা বাজেট ব্যয়ের ২২ শতাংশ। বাজেট ব্যয়ের বৃহত্তম খাত হচ্ছে সুদ পরিশোধ। পরিচালন ব্যয় ও সুদ পরিশোধের মত অনুন্নয়ন খাতেই ব্যয় হবে বাজেটের অধিকাংশ অর্থ। আর প্রস্তাবিত বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রাও বাস্তব সম্মত নয়। এ কথায় প্রস্তাবিত বাজেট জাতীয় ঋণের বোঝা বৃদ্ধির বাজেট।
নেতৃদ্বয় আরও বলেন, ঋণ নির্ভর বাজেটের কারণে জনগণের উপর জাতীয় ঋণের বোঝা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েই চলছে। এভাবে চলতে থাকলে অদূর ভবিষ্যতে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভয়াবহ সংকটের নিপতিত হতে বাধ্য। দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ তলানীতে গিয়ে ঠেকার উপক্রম হয়েছে। মুদ্রাস্ফীতির ফলে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষ আজ দিশেহারা। প্রস্তাবিত এ বাজেট দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধে কোনো ভূমিকা রাখবে না, বরং নতুন করে বহু জিনিসপত্রের দাম বাড়বে। বাজেটে মোবাইল ফোনে কথা বলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারে সম্পূরক শুল্ক ৫ শতাংশ বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করা হয়েছে। একজন ভোক্তা ১০০ টাকা রিচার্জ করলে মাত্র ৬৮ টাকার কথা বলতে পারবে। দেশের সর্বস্তরের মানুষের পকেট কাটার একটা ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর বাজেটে প্রদত্ত কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেশে ঘুষ-দুর্নীতিকে উৎসাহিত করবে।
বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় ঘুষ-দুর্নীতি বন্ধ, বিদেশে পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনা, মূল্যস্ফীতি রোধ ও প্রস্তাবিত বাজেটে আরোপিত মোবাইলে কথা বলার উপরসহ সব ধরনের বর্ধিত কর প্রত্যাহারের দাবি জানান।
(ঢাকাটাইমস/০৬জুন/জেবি/এমআর)

মন্তব্য করুন