পবিত্র আশুরা কবে, জানা যাবে আজ সন্ধ্যায়

হিজরি বছরের প্রথম মাস মহররমের ১০ তারিখ পবিত্র আশুরা। ১৪৪৭ হিজরি সনের পবিত্র মহররম মাসের চাঁদ দেখা এবং পবিত্র আশুরার তারিখ নির্ধারণে বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সন্ধ্যায় জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হবে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে এ বৈঠক সন্ধ্যা ৭টায় (বাদ মাগরিব) শুরু হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
বাংলাদেশের আকাশে কোথাও পবিত্র মহররম মাসের চাঁদ দেখা গেলে তাৎক্ষণিকভাবে নিচের টেলিফোন বা ফ্যাক্স নম্বরে অথবা সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক কিংবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানোর জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
টেলিফোন নম্বর:
০২-২২৩৩৮১৭২৫, ০২-৪১০৫০৯১২, ০২-৪১০৫০৯১৬, ০২-৪১০৫০৯১৭
ফ্যাক্স নম্বর:
০২-২২৩৩৮৩৩৯৭, ০২-৯৫৫৫৯৫১
‘আশুরা’ শব্দটি আরবি ‘আশারা’ থেকে উৎপন্ন, যার অর্থ ‘দশ’। আরবি সনের প্রথম মাস মহররমের ১০ তারিখকে পবিত্র আশুরা বলা হয়। ইতিহাসে এ দিনটি বিভিন্ন যুগে নানা গুরুত্বপূর্ণ ও স্মরণীয় ঘটনার সাক্ষী।
কারবালার শোকাবহ ও হৃদয়বিদারক ঘটনার স্মরণে আশুরা বিশ্বের মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের কাছে বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। ত্যাগ ও শোকের প্রতীকরূপে দিনটি পালন করা হয় মুসলিম বিশ্বে। হিজরি ৬১ সালের ১০ মহররম মহানবী হযরত মুহম্মদ (সা.) এর প্রিয় দৌহিত্র হযরত ইমাম হোসেন (রা.) ও তাঁর পরিবারবর্গ ফোরাত নদীর তীরে কারবালা প্রান্তরে শাহাদতবরণ করেন। সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায় তাদের এ আত্মত্যাগ মুসলিম উম্মাহর জন্য এক উজ্জ্বল ও অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। এই দিনে বিশ্বাসঘাতক ইয়াজিদের সৈন্যদের হাতে কারবালার প্রান্তরে শহীদ হন তাঁরা। ইসলামের সুমহান আদর্শকে সমুন্নত রাখার জন্য তাদের এই আত্মত্যাগ ইতিহাসে সমুজ্জ্বল হয়ে আছে। কারবালার শোকাবহ ঘটনার স্মৃতিতে ভাস্বর পবিত্র আশুরা।
হাদিস শরিফে আশুরার রোজার বিশেষ ফজিলতের কথা বলা হয়েছে। হজরত আবু কাতাদা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) আশুরার রোজার বিষয়ে বলেন— "আশুরার রোজার ব্যাপারে আমি আল্লাহর কাছে আশা করছি যে, তিনি বিগত এক বছরের পাপ ক্ষমা করে দেবেন। (মুসলিম)"
(ঢাকাটাইমস/২৬ জুন/আরজেড)

মন্তব্য করুন