‘অভিমানে’ দলের নেতৃত্ব ছাড়ছেন শান্ত!

নাজমুল হোসেন শান্ত বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়কের দায়িত্ব ছাড়তে যাচ্ছেন। টি-টোয়েন্টি আর ওয়ানডেতে তিনি এখন আর অধিনায়ক নন। এবার ‘অভিমানে’ টেস্ট দলের নেতৃত্বও ছাড়তে যাচ্ছেন। এক সূত্রকে উদ্ধৃত করে এমন খবরই সামনে এনেছে ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ।
শ্রীলঙ্কা সফর শেষেই নেতৃত্ব ছাড়ার ঘোষণা দিতে পারেন শান্ত। তবে কলম্বোতে দ্বিতীয় টেস্টের পর নাকি পরে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে তা ঘোষণা করবেন, সেটা নির্ভর করছে বোর্ডের সঙ্গে আলোচনার ফলাফলের ওপর।
বিসিবির একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র ক্রিকবাজকে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানায়, সম্প্রতি ঘটে যাওয়া নানা ঘটনার পর শান্ত নিজের সিদ্ধান্তে বেশ দৃঢ়। সূত্রের ভাষ্য, “আমার মনে হয় না শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের পর শান্ত অধিনায়কত্ব চালিয়ে যাবেন। আমি ওকে অনেকদিন ধরে চিনি। ওর সঙ্গে যা ঘটেছে, তাতে ও খুব একটা খুশি নয়।”
জানা গেছে, এক বছরের জন্য টেস্ট অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পাওয়া শান্ত তার ঘনিষ্ঠদের সাথে দীর্ঘ আলোচনা করেছেন এবং তাদের তার সিদ্ধান্ত সম্পর্কে অবহিত করেছেন।
এর আগে শান্ত নিজেই টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিয়েছিলেন ব্যাটিংয়ে মনোযোগী হতে। সেসময় বোর্ডকেও জানিয়েছিলেন, তিনি টেস্ট ও ওয়ানডে দলের অধিনায়ক থাকতে চান।
ক্রিকবাজের প্রতিবেদনের ভাষ্য, শান্ত একসময় সব ফরম্যাটে অধিনায়কত্ব ছাড়তে চেয়েছিলেন, কিন্তু তৎকালীন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদই টেস্ট ও ওয়ানডে দলে দায়িত্ব চালিয়ে যেতে বলেন। কেবল টি-টোয়েন্টি ছেড়ে দিতে বলেন ব্যাটিংয়ে মনোযোগ বাড়ানোর স্বার্থে।
তবে গত ১২ জুন হুট করে শান্তকে ওয়ানডের নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। নতুন অধিনায়ক হিসেবে নাম ঘোষণা করা হয় মেহেদী হাসান মিরাজের।
এই সিদ্ধান্ত শান্তর জন্য ছিল একেবারেই অপ্রত্যাশিত। এক জরুরি জুম বৈঠক শেষেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ক্রিকবাজ তাদের খবরে উল্লেখ করেছে, এই সিদ্ধান্তের সময়ে প্রধান কোচ ফিল সিমন্সের সঙ্গে দল নিয়ে আলোচনা করার কথা ছিল শান্তর। কিন্তু ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদিন ফাহিমের ফোনকলের পর শান্ত আর সিমন্সের সঙ্গে বৈঠক করেননি।
যদিও বোর্ড সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল পরবর্তীতে বলেছিলেন, শান্তর অধিনায়কত্ব কেড়ে নেওয়া হয়নি। বরং বোর্ডের সবার সম্মতিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/২৩জুন/আরকে)

মন্তব্য করুন