গল টেস্ট: বৃষ্টি-বাধায় ড্র নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হলো বাংলাদেশকে

অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর সেঞ্চুরিতে ভর করে গল টেস্টে ৬ উইকেটে ২৮৫ রানে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার সামনে ২৯৬ রানের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিল। নিজেরাও চ্যালেঞ্জ নিয়েছিল লঙ্কানদের অল আউটের। কিন্তু গল ট্যাস্টের শেষ দিনে বেলা শেষে এর কোনোটাই হয়নি কারও। ফলে দুই দলকেই ড্র মেনে নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়।
এই ড্র টেস্টে বাংলাদেশ দলে একটা সোনালি অর্জন অধিনায়ক শান্তর টানা দুই সেঞ্চুরি। অধিনায়ক হিসেবে একই টেস্ট ম্যাচে দুই ইনিংসে সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েন তিনি। আর বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটার হিসেবে এমন কীর্তি গড়লেন দ্বিতীয়বারের মতো।
অধিনায়কের বিরল কীর্তি গড়া এই গল টেস্টে অবশ্য শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে দেওয়ার খুব কাছে পৌঁছে গিয়েছিল টাইগাররা। বৃষ্টি-বাধা না থাকলে হয়তো ফল বাংলাদেশের পক্ষে আসত। এদিন বৃষ্টির কারণে তিন ঘণ্টার বেশি সময় খেলা বন্ধ থাকে। অর্থাৎ দিনের প্রায় অর্ধেকটা খেয়ে ফেলে বৃষ্টি।
তবে দলের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স বিবেচনায় এই ড্রতে অসন্তুষ্ট হওয়ার কিছু নেই বাংলাদেশের। এর আগে দেশের মাটিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ ড্র এবং সবশেষ আরব আমিরাত ও পাকিস্তানে সিরিজ হারে বাংলাদেশ। আর তাতে জাতীয় দলের আত্মবিশ্বাস তলানিতে ছিল বলা যায়।
এই গল টেস্ট দিয়ে সুচিত টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্রে বাংলাদেশের শুরুটা উড়ন্ত না হলেও অন্তত সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স বিবেচনায় মন্দ না।
আজ পঞ্চম দিনে ৩ উইকেটে ১৭৭ রান নিয়ে খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ। শান্ত ৫৬ আর মুশফিক ২২ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামেন। দুজনের ১৯১ বলে ১০৯ রানের জুটিটি ভাঙে মুশফিকের রানআউটে। ১০২ বলে ৪৯ রানের ইনিংসে ৪টি বাউন্ডারি হাঁকান মুশফিক। মাত্র ১ রানের জন্য ফিফটি মিস মুশফিকের।
তবে সেঞ্চুরি মিস করেননি শান্ত। ১৯৯ বলে ৯ চার আর ৩ ছক্কায় ১২৫ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। মাঝে লিটন দাস ৩ আর জাকের আলী ২ রান করে আউট হন।
৬ উইকেটে ২৮৫ রানে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করেন অধিনায়ক শান্ত।
টেস্টের শুরু ও শেষটা বাংলাদেশের পক্ষে ইতিবাচক ছিল বলা যায়। প্রথম ইনিংসে মুশফিকুর রহিম (১৬৩) ও নাজমুল হোসেন শান্তর (১৪৮) জোড়া সেঞ্চুরি এবং লিটন দাসের (৯০) লড়াকু ব্যাটিংয়ে ৪৯৫ রানের বড় ভিত গড়েছিল বাংলাদেশ। এরপর বোলিংয়ে শ্রীলঙ্কাকে প্রথম ইনিংস ছাড়িয়ে যেতে দেয়নি বোলাররা। ৪৮৫ রানে আটকে দেয় স্বাগতিকদের।
(ঢাকাটাইমস/২১জুন/মোআ)

মন্তব্য করুন