মির্জা আব্বাসের ১৮ বাড়ির মামলার যুক্তিতর্ক ৩১ আগস্ট

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের ১৮ বাড়ির দুর্নীতির মামলার যুক্তিতর্কের দিন ধার্য করেছে আগামী ৩১ আগস্ট। এদিন মামলার আসামি রাজউকের সুপারিন্টেন্ডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আলী আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।
বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ জজ মোহাম্মদ আবু তাহের এ আদেশ দেন।
আসামি পক্ষের আইনজীবী মো. জয়নাল আবেদীন মেজবাহ আসামির জামিন আবেদন করেন। এ সময় দুদকের আইনজীবী মীর আলী আহমেদ সালাম উপস্থিত ছিলেন। উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে আদালত আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত তার জামিন মঞ্জুর করেন। আর একই দিন যুক্তিতর্কের শুনানির দিন ধার্য করেন।চারদলীয় জোট সরকারের আমলে সরকারি ১৮টি পরিত্যক্ত বাড়ি সাজানো দরপত্র ডেকে অস্বাভাবিক কম দামে বিক্রির অভিযোগে ২০০৭ সালের মার্চে সাবেক মন্ত্রী মির্জা আব্বাসসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় মামলা করে দুদক।
মামলায় ওই বছরের ২০ সেপ্টেম্বর অভিযোগপত্র দেয়া হয়। অভিযোগপত্রে বলা হয়, সাজানো দরপত্রের মাধ্যমে এবং প্রকৃত দামের চেয়ে কম দাম দেখিয়ে ১৮টি সরকারি বাড়ি বিক্রি করে আসামিরা আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন। এতে সরকারের ক্ষতি হয়েছে ১২৭ কোটি ৬৪ লাখ ১৯ হাজার টাকা। অভিযোগপত্রে আরও ১৪ আসামির নাম যুক্ত হয়। তাদের বিরুদ্ধে সুবিধা আদায়ের অভিযোগ তোলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে ঢাকার বিশেষ জজ-৩ আদালতে বিচারাধীন ১৫টি মামলায় বিনা দরপত্রে ১৮টি সরকারি বাড়ি বিক্রি সংক্রান্ত ১২৭ কোটি ৬৪ লাখ ১৯ হাজার ৫৯ টাকা দুর্নীতির অভিযোগে আসামি মির্জা আব্বাসসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন এ আদালতের তৎকালীন বিচারক শাহেদ নূরউদ্দিন।
অভিযোগ গঠনের আদেশে উল্লেখ করা হয়, ‘পরিত্যক্ত বাড়ি নম্বর এনডব্লিউ (আই)-৬, রোড নম্বর-৫৩, গুলশান, ঢাকার নিলাম দরপত্র আহ্বান করা হয়। বাড়ি নম্বর কে-৬, সড়ক নম্বর-৮৯, গুলশান, বাড়ি নম্বর সিএনজি-১৬,সড়ক-১১৩, গুলশান, বাড়ি নম্বর বি-৫, সড়ক নম্বর-১১৩, গুলশান, বাড়ি নম্বর-১২০, সড়ক-২, পুরাতন ধানমণ্ডি, বাড়ি নম্বর-১৩৯, সড়ক নম্বর-২, ধানমণ্ডি, বাড়ি নম্বর-৫৪০/এ (পুরাতন), সড়ক নম্বর-১২, ধানমণ্ডি, বাড়ি নম্বর-৫৪০/বি (পুরাতন), সড়ক নম্বর-১২ (পুরাতন), বাড়ি নম্বর-৭২৩/এ (পুরাতন), সড়ক নম্বর-১৪ (পুরাতন), বাড়ি নম্বর-৭২৩/বি, সড়ক নম্বর-১৪ ধানমণ্ডি, ধানমণ্ডি আবাসিক এলাকার ১৭ নম্বর ও ১৮ নম্বর কলেজ স্ট্রিট, বাড়ি নম্বর-৭/১, নওরতন কলোনি, শান্তিনগরসহ সর্বমোট ১৮টি পরিত্যক্ত বাড়ি রাজউক কর্তৃক সাজানো দরপত্রে কারচুপি ও দুর্নীতির মাধ্যমে নিজ পছন্দের ব্যক্তিদের পাইয়ে দিয়ে প্রকারান্তরে নিজে লাভবান হয়ে সরকারের ১২৭ কোটি ৬৪ লাখ ১৯ হাজার ৫৯ টাকার অর্থের ক্ষতি সাধন করেন।

মন্তব্য করুন