সাবেক তিন সিইসি’র মামলায় রাষ্ট্রদ্রোহের ধারা সংযুক্ত

সাবেক তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ (সিইসি) ২৪ আসামির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের ধারা সংযুক্ত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ডিএমপির প্রসিকিউশন বিভাগের উপপরিদর্শক রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও শেরেবাংলানগর থানার উপপরিদর্শক শামসুজ্জোহা সরকার বুধবার মামলায় দণ্ডবিধির ১২৪ (ক) ৪২০/৪০৬ ধারায় অভিযোগ সংযুক্ত করার আবেদন করেন। মামলার ধারা তিনটির মধ্যে ১২৪ (ক) ধারাটি রাষ্ট্রদোহিতার অপরাধ। এ ধারাটি জামিন অযোগ্য। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মিনহাজুর রহমানের আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করেন।
ইতোপূর্বে দণ্ডবিধি ১২০বি, ১১৭বি, ১০৯,১৭১ডি, ১৭১জি, ১৭১এইচ ও ১৭১আই ধারায় দায়ের করা হয়েছিল। ধারাগুলো ছিল সবই জামিনযোগ্য।
ঢাকা মহানগর পিপি ওমর ফারুক ফারুকী জানান, সাবেক তিন সিইসিসহ অন্যদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার সময় এ ধারাগুলো ছিল না। কিন্তু মামলা তদন্তের যেকোনো পর্যায়ে অথবা চার্জশিটে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা প্রমাণ সাপেক্ষে যেকোনো ধারা সংযুক্ত করতে পারেন।
চার্জশিটে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা যেকোনো ধারা সংযুক্ত করতে পারে— তা হলে এখনই এ ধারা সংযুক্ত করতে হলো কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আগের ধারাগুলো জামিনযোগ্য হওয়ায় বিচারক তাদের জামিন মঞ্জুরে সহানুভূতি দেখাতে পারেন। কিন্তু বর্তমানে রাষ্ট্রদ্রোহ ধারা সংযুক্ত করার তার জামিন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হওয়ার সম্ভাবনা কমে গেল।
এর আগে গত ২২ জুন বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক দায়িত্ব ‘পালন না করে’ উল্টো ‘ভয়-ভীতি দেখিয়ে’ জনগণের ভোট ছাড়াই নির্বাচন সম্পন্ন করার অভিযোগে মামলা করে বিএনপি।
মামলায় ২০১৪ সালের নির্বাচনের তৎকালীন সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, ২০১৮ সালের নির্বাচনে তৎকালীন সিইসি কে এম নুরুল হুদা ও ২০২৪ সালের নির্বাচনের তৎকালীন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালকে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হাসান মাহমুদ খন্দকার, এ কে এম শহীদুল হক, জাবেদ পাটোয়ারী, বেনজির আহমেদ ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকেও আসামি করা হয়েছে এই মামলায়। তবে মামলায় রাষ্ট্রদ্রোহ, প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ছিল না।
(ঢাকাটাইমস/২৬জুন/এলএম)

মন্তব্য করুন