নকল মাস্টার্স সনদে তিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষমতার চেয়ারে! নরসিংদীতে বিএনপি নেতার কীর্তি ফাঁস

নরসিংদীর মনোহরদীতে ভুয়া স্নাতকোত্তর (মাস্টার্স) সনদ ব্যবহার করে একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ পদ দখলের অভিযোগ উঠেছে মনোহরদী উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. আমিনুর রহমান সরকার দোলনের বিরুদ্ধে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি ফাঁস হওয়ার পর এলাকায় ব্যাপক আলোচনার ঝড় উঠেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দোলন দাবি করে আসছেন যে তিনি ১৯৯৫ সালে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজ থেকে ইসলামের ইতিহাস বিভাগে দ্বিতীয় শ্রেণিতে স্নাতকোত্তর পাস করেছেন। কিন্তু তদন্তে বেরিয়ে এসেছে, ওই কলেজে তখন মাস্টার্স তো দূরের কথা, অনার্স কোর্সও চালু ছিল না। কলেজে অনার্স চালু হয় ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষে।
এই ভুয়া সনদকে হাতিয়ার করে দোলন বড়চাপা ইউনিয়ন ডিগ্রি কলেজের সভাপতি, আসাদনগর ডিএম ফাজিল মাদ্রাসার সভাপতি এবং খিদিরপুর কলেজের বিদ্যোৎসাহী সদস্য হিসেবে পদ বাগিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
সাংবাদিকরা মোবাইলে তার সঙ্গে যোগাযোগ করলে, দোলন সাংবাদিক পরিচয় জানানোর সঙ্গে সঙ্গে ফোন কেটে দেন। আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মফিজুল ইসলাম ঢাকা টাইমসকে বলেন, “আমাদের কলেজে মাস্টার্স চালু হয়নি। ১৯৯৫ সালে তো অনার্সও ছিল না। কেউ এমন সনদ ব্যবহার করলে সেটি ভুয়া ও বানানো।”
এ বিষয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ বলেন, বিষয়টি আমরা খোঁজ নিচ্ছি। এ সংক্রান্ত অনিয়মের বিরুদ্ধে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কঠোর অবস্থানে। আমরা এটিকে কোনোভাবে প্রশ্রয় দেব না।
স্থানীয় বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, আগস্ট-পরবর্তী সময়ে দোলন বিভিন্ন হাট-বাজার থেকে বিপুল অর্থ আদায়, মাটি-বালু বিক্রি সিন্ডিকেট থেকে মাসোহারা নেওয়া এবং চাঁদাবাজিসহ নানা অনিয়মে জড়িত। এছাড়া তিনি আওয়ামী লীগপন্থিদের পুনর্বাসনেও ভূমিকা রেখেছেন বলে দাবি করেছেন তারা।

মন্তব্য করুন