চাকরিতে কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে জবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

জবি প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ০৬ জুন ২০২৪, ১৮:৩৫| আপডেট : ০৬ জুন ২০২৪, ১৯:১৯
অ- অ+

হাইকোর্টে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির (৯ম থেকে ১৩তম গ্রেড) সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহাল আদেশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এরপর মিছিলটি বাহাদুর শাহ পার্কের সামনে দিয়ে ঘুরে বাংলাবাজার হয়ে পুনরায় প্রধান ফটকের সামনে এসে শেষ হয়। এরপর সেখানেই সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা।

এ সময় শিক্ষার্থীরা হাইকোর্টের রায় প্রত্যাখ্যান করে ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘চাকরিতে কোটা, মানি না মানবো না’, ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়, কোটার ঠাঁই নাই’, ‘হাইকোর্টের রায়, মানি না মানবো না’, ‘কোটা পদ্ধতি, কোটা পদ্ধতি, মানি না মানবো না’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা কোনো দেশের স্বাভাবিক শিক্ষাব্যবস্থা হতে পারে না। দেশের বিপুল সংখ্যক বেকার সমস্যার মধ্যে শিক্ষার্থীদের ওপর কোটার মত বৈষম্যমূলক বিভীষণ চাপিয়ে দেওয়া হলে বেকার সমস্যা আরও বৃদ্ধি পাবে। আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান জানাই। তারা দেশের সূর্যসন্তান। তাই বলে তাদের সন্তান এমনকি নাতি-নাতনিরা পরিশ্রম না করেই কোটায় চাকরিতে যোগ দেবেন, এটা মানি না। আমরা এ রায়ে অসন্তুষ্ট।’

তারা বলেন, ‘আমরা এখানে সরকারবিরোধী কোনো আন্দোলন করতে আসিনি। আমরা শুধু আমাদের অধিকার আদায়ে বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছি। হাইকোর্টের প্রতি সম্মান রেখে আমরা বলতে চাই হাইকোর্ট যেন কোটার পুনর্বহাল বাতিল করেন।’

এর আগে বুধবার (৫ জুন) এক রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ কোটা বহালের রায় দেন। কোটা বাতিলের পরিপত্র অবৈধ ঘোষণার ফলে এখন মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৯ম থেকে ১৩তম গ্রেডে নিয়োগ দেওয়ায় আর কোনো বাধা থাকল না।

পরিপত্রের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০২১ সালে রিট করেন চাকরি প্রত্যাশী ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান অহিদুল ইসলামসহ সাতজন। এর আগে ২০১৮ সালে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ আন্দোলনের পর সরকারি চাকরিতে ৯ম থেকে ১৩তম গ্রেডে নিয়োগের ক্ষেত্রে ৪৫ শতাংশ কোটা তুলে দিয়ে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। ২০১৮ সালের ৩ অক্টোবর মন্ত্রিসভায় এ প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।

(ঢাকাটাইমস/০৬জুন/প্রতিনিধি/পিএস)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
জুলাই ঘোষণাপত্রের খসড়া চূড়ান্ত, জাতির সামনে উপস্থাপন ৫ আগস্ট
সালথায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা শাহিন গ্রেপ্তার
সাংবাদিক কাদের গনি চৌধুরীকে দেখতে হাসপাতালে পেশাজীবী নেতৃবৃন্দ
জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে এনসিপি
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা