কুবির রেজিস্ট্রারকে সাময়িক বরখাস্ত

কুবি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ৩১ জুলাই ২০২৫, ১৯:১৮
অ- অ+

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) রেজিস্ট্রার মো. মজিবুর রহমান মজুমদারকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বিকেল পাঁচটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক . মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তবে মো. মজিবুর রহমানের দাবি, ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিয়মবহির্ভূতভাবে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

জানা যায়, গত ২৪ জুলাই ১০৫তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় মজিবুর রহমানের (সাবেক রেজিস্ট্রার) বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ তদন্ত করতে একটি উচ্চতর কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির তদন্ত কাজ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে তাকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত হয়। গত ২৯ জুলাই রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশের মাধ্যমে এটি জানানো হয়।

গত ২৪ জুলাই গঠিত উচ্চতর তদন্ত কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে আছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্সেস বিভাগের অধ্যাপক . মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম এবং সদস্য সচিব হিসেবে আছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক . মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন। এছাড়া, সদস্য হিসেবে আছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন উপদেষ্টা এডভোকেট আবদুর রহমান (জীবন) আইন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মু. আলী মুর্শেদ কাজেম।

নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক রেজিস্ট্রার মো. মজিবুর রহমান মজুমদার বলেন, “আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের কোনো সত্যতা তারা (প্রশাসন) পায়নি। আর্থিক প্রশাসনিক অনিয়মের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি হলেও তারা কিছু পায়নি। এখন আবার উচ্চতর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর সাথে নিয়মবহির্ভূতভাবে আমাকে বরখাস্ত করেছে। এটি কর্তৃপক্ষের গায়ের জোরে করা হচ্ছে, ক্ষমতার চরম অপব্যবহার এটি ‘

বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) উচ্চতর তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক . মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক নতুন করে উচ্চ পর্যায়ের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং তদন্তের স্বার্থে তাকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

প্রক্রিয়া অনুসরণ না করার বিষয়ে . মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘তিনি (সাবেক রেজিস্ট্রার) যত দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিতে ছিলেন তাকে অন্তত ১২ থেকে ১৫ বার শোকজ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক ক্ষতি হয় এমন বদনামও তিনি করেছেন। তার বিরুদ্ধে থাকা সব অভিযোগের প্রেক্ষিতেই উচ্চতর তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তাকে যখন বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয় তখন তিনি কোর্টে যান। কোর্ট যখন তার পক্ষে রায় দেন তখন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আবার সেই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে। আপিল রিট না করা পর্যন্ত তিনি চাকরিতে যোগদান দিতে পারবেন না।

গত মার্চ ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. দলিলুর রহমান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশের মাধ্যমে রেজিস্ট্রার মো. মজিবুর রহমানকে আর্থিক প্রশাসনিক অনিয়মের অভিযোগ এনে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয় এবং নতুন দায়িত্ব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) দেওয়া হয় গণিত বিভাগের অধ্যাপক . মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেনকে।

বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানোর অফিস আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দায়ের করেন মজিবুর রহমান। এর প্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত বাধ্যতামূলক ছুটির ওপর তিন মাসের স্থিতির আদেশ জারি করেন। এরপর গত ১৬ জুলাই অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা রেজিস্ট্রার অধ্যাপক . মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বরাবর ১৭ জুলাই থেকে নিজ পদে যোগদানের আবেদন করেন তিনি।

(ঢাকাটাইমস/৩১জুলাই/মোআ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক তরিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি
পঞ্চগড়ে রাস্তার কাজে অনিয়ম, অস্বীকার করায় এলজিইডি কর্মচারীকে গণপিটুনি
সাতক্ষীরায় জমি দখলকে কেন্দ্র করে পাঁচজন গুলিবিদ্ধ, আটক ৪
শার্শায় সরকারি চালের বস্তা ছিনতাই, বিএনপির ২ কর্মী গ্রেপ্তার
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা