শ্বাসরুদ্ধকার ম্যাচে সুপার ওভারে গড়াল পাকিস্তান-যুক্তরাষ্ট্র ম্যাচ

চলতি বিশ্বকাপে দ্বিতীয় বারের মতো সুপার ওভারে গড়ালো ম্যাচ। ওমান আর নামিবয়িার ম্যাচের পর এবার পাকিস্তান-যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাচও গড়ালো সুপার ওভারে। পাকিস্তানের দেওয়া ১৬০ রানের লক্ষে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভার শেষে ১৫৯ তুলতে সক্ষম হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ফলে ম্যাচের ভাগ্য গড়ায় সুপার ওভারে।
বৃহস্পতিবার ( ৬ জুন) যুক্তরাষ্ট্রের ডালাস স্টেডিয়ামে টস হেরে শুরুতে ব্যাটিংয়ে নামে পাকিস্তান। ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫৯ তুলতে সক্ষম হয় পাকিস্তান। জবাবে ব্যাটিং করতে নেমে ভালোই করতে থাকে যুক্তরাষ্ট্র। জয়ের জন্য শেষ তিন ওভারে তাদের দরকার ছিল ২৮ রান। প্রথম দুই ওভার থেকে আসে ১৩ রান। যার ফলে শেষ ওভারে জয়ের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রয়োজন ছিল ১৫ রান। তবে তারা নিতে সক্ষম হয় ১৪ রান। যার ফলে ম্যাচ গড়ালো সুপার ওভারে।
যৃক্তরাষ্টের হয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে ওপেনিংয়ে নামেন স্টিভেন টেলর ও মোনাক প্যাটেল। শুরু থেকেই এই দুই ওপেনার দেখেশুনেই খেলতে থাকেন। প্রথম পাঁচ ওভারেই তারা তুলে নেন ৩৬ রান। তবে এরপরেই ঘটে ছন্দপতন। ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে নাসিম শাহ এর বলে মুহাম্মদ রিজওয়ানের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান ১৬ বলে ১২ রান করা স্টিভেন টেলর। তার বিদায়ে ৩৬ রানে প্রথম উইকেট হারায় যুক্তরাষ্ট্র।
৩৬ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর জুটি গড়েন আন্দ্রিস গুস ও মোনাঙ্ক প্যাটেল। এই জুটিতে ভর করে ১২ ওভার ৩ বলেই দলীয় শতক পূর্ণ করে স্বাগতিকরা। এরপরেই ব্যক্তিগত অর্ধশতক তুলে নেন মোনাঙ্ক প্যাটেল। পাকিস্তানের বিপক্ষে আজ তিনি ৩৪ বলেই ফিফটি।
অবশেষে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা এই জুটিকে থামান হারিস রউফ। হারিস রউফের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরে যান আন্দ্রিস গুস। আউট হওয়ার আগে করেন ২৬ বলে ৩৫ রান। তার বিদায়ে ভাঙে ৬৮ রানের জুটি।
আন্দ্রিস গুসের বিদায়ের পর সাজঘরে ফিরে যান মোনাঙ্ক প্যাটেলও। অর্ধশতক তুলে নেওয়ার পর নিজের ইনিংসকে আর বেশিদূর নিয়ে যেতে পারেননি মোনাঙ্ক। ৩৮ বলে ৫০ রান করে মোহাম্মদ আমিরের বলে মুহাম্মদ রিজওয়ানের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান তিনি। তার বিদায়ে ১১১ রানেই ৩ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা।
মোনাঙ্ক প্যাটেলের বিদায়ের পর নীতিশ কুমারের সঙ্গে জুটি গড়েন অ্যারন জোন্স। এই জুটিতে ভর করে জয়ের দ্বারপ্রান্তে চলে যায় যুক্তরাষ্ট্র। শেষ তিন ওভারে তাদের দরকার ছিল ২৮ রান। ১৮ তম ওভারের প্রথম বলে কোনো রান নিতে পারেনি যুক্তরাষ্ট। এরপর দ্বিতীয় বলে চার মারেন অ্যারন জোন্স। তবে এরপরের চার বলে মাত্র তিন রানই নিতে সক্ষম হয় স্বাগতিকরা। যার ফলে শেষ ১২ বলে জয়ের জন্য স্বাগতিকদের দরকার ২১ রান।
১৯ ওভারের প্রথম বলে এক রান নেন অ্যারন জোন্স। এরপর দ্বিতীয় বলেও আসে এক রান। পরের চার বল থেকে আসে চার রান। যার ফলে শেষ ওভারে জয়ের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রয়োজন ছিল ১৫ রান।
২০ তম ওভারের প্রথম বলে ১ রান নেয় যুক্তরাষ্ট্র। যার ফলে ৫ বলে দরকার হয় ১৪ রান। প্রথম বলের মতো দ্বিতীয় বলেও আসে এক রান। ফলে ৪ বলে দরকার ছিল ১৩ রান। এরপরের বলে আবারও এক রান নেয় যুক্তরাষ্ট্র। যার ফলে তিন বলে দরকার ছিল ১৩ রান। পাকিস্তানকে ভয় ধরিয়ে দিয়ে পরের বলে ছক্কা হাঁকান অ্যারন জোন্স। সেক্ষেত্রে শেষ দুই বলে ৬ রানের দরকার ছিল স্বাগতিকদের। তবে শেষ দুই বলে ৫ রান নিতে সক্ষম হয় যুক্তরাষ্ট্র। ফলে ম্যাচের ভাগ্য গড়ায় সুপার ওভারে।

মন্তব্য করুন