আমি যদি কর্মসূচি ঘোষণা নাও দিতে পারি, আন্দোলন চালিয়ে যাবেন: হাসনাত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, তীব্র দাবদাহে গত দুদিন থেকে রাস্তায় রয়েছি, ফলে যেকোনো সময় অসুস্থ হয়ে যেতে পারি। অগ্রিম ঘোষণা দিয়ে রাখলাম, কোনো ষড়যন্ত্রের চাপে পড়ে আমার মুখ দিয়ে জোরপূর্বক যদি আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের ‘আন্দোলন প্রত্যাহার’ করা হয় তারপরও আপনারা নিজেরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
শনিবার বিকালে রাজধানীর শাহবাগে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে পূর্বঘোষিত গণজমায়েতে এসব কথা বলেন হাসনাত আবদুল্লাহ।
তিনি বলেন, ‘২০১৩ সালের শাহবাগ থেকেই দেশে ফ্যাসিবাদের সূচনা হয়েছে, আর এই শাহবাগ থেকেই ফ্যাসিবাদের পতন ঘটবে। মত ও পথ ভিন্ন হতে পারে কিন্তু আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার প্রশ্নে আমাদের অবস্থান এক।’
দাবদাহের মধ্যেও আন্দোলনে সক্রিয় থাকার বিষয়ে হাসনাত বলেন, ‘‘গত দু’দিন রাস্তায় থাকায় আমি যেকোনো সময় অসুস্থ হয়ে যেতে পারি। আগেই বলে রাখছি– কোনো ষড়যন্ত্রের চাপে পড়ে যদি কেউ আমার মুখ দিয়ে জোরপূর্বক ‘আন্দোলন প্রত্যাহারের’ ঘোষণা দেওয়ায় তাও আপনারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।’’
এনসিপির এ নেতা বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন দুই ভাগে বিভক্ত– একদিকে ফ্যাসিবাদী শক্তি, অন্যদিকে বাংলাদেশি শক্তি। যারা আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে চায় না, তারা ফ্যাসিবাদী; আর যারা নিষিদ্ধ করতে চায়, তারা প্রকৃত বাংলাদেশি শক্তি।’
জুলাই মাসে ঘোষিত ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘যতই ষড়যন্ত্র হোক, ঐক্যবদ্ধ শক্তিকে কেউ আলাদা করতে পারবে না। আমি যদি পরবর্তী কর্মসূচি নাও দিতে পারি, আপনাদের মানজিলে মাকসুদ যেন হয়– আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করা।’
এর আগে বেলা ৩টার দিকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে শুক্রবারের ন্যায় গণজমায়েত শুরু হয়েছে। এই গণজমায়েত কর্মসূচিতে এনসিপি ছাড়াও যোগ দিয়েছেন, জুলাই মঞ্চ, ইনকিলাব মঞ্চ, ছাত্রশিবির, প্ল্যাটফর্ম ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশসহ (আপ বাংলাদেশ) বিভিন্ন দল ও ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা।
আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীরা জানান, আজকের (শনিবার) গণজমায়েত থেকে সিদ্ধান্ত আসবে আন্দোলন কোন দিকে যাবে। যদি আজ রাতের মধ্যে সরকারের তরফ থেকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের ঘোষণা না আসে, কাল থেকে সারা দেশের ব্লকেড কর্মসূচি ঘোষণার সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
(ঢাকাটাইমস/১০মে/এলএম/এমআর)

মন্তব্য করুন