পূজার রেশ লাগেনি সেলুনে

দুই ঈদ এবং দূর্গাপূজা। মুসলিম ও হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। এই উৎসবগুলোতে নতুন জামা-জুতা, শাড়ি-গহনা কেনার পাশাপাশি সবাই ব্যস্ত হন নিজের সাজগোজ নিয়েও। সেজন্য সেলুন বা পার্লারগুলোও এসময়গুলোএত আলাদাভাবে প্রস্তুত করেন। কিন্তু এবারের শারদীয় দূর্গাপূজায় রাজধানীর সেলুনগুলোতে দূর্গাপূজার আমেজ লাগেনি। সেলুনের মালিক ও কর্মচারীরা বলছেন পঞ্চমী থেকে দশমী, বেশ কয়েকদিন ধরে পূজা অনুষ্ঠিত হয় তার কারণে সেভাবে পূজার প্রভাব পড়ছে না সেলুনে।
শুক্রবার রাজধানীর মগবাজার ও বেইলি রোড ও সিদ্ধেশ্বরী এলাকার ছোট বড় সেলুন ও পার্লারগুলোতে ঘুরে দেখা যায়, অবসরে সময় কাটাচ্ছেন সেলুনে কাজ করা নরসুন্দরেরা। মালিক ও কর্মচারীদের দেখা যায় আড্ডা ও টিভিতে খেলা দেখে সময় কাটাতে। তবে কোনো কোনোটাতে কাজ করতে দেখা গেলেও সেটা খুব কম।
এদিন বেইলি রোডে অবস্থিত এটিটিউড বার্বার সপের ঢুকে দেখা যায়, একজন মাত্র লোকের চুল কাটছেন দোকানটির নরসুন্দর আবিদ হাসান। বাকি পাঁচটি আসন ফাঁকা। পূজা উপলক্ষে সব সার্ভিসে ১০ শতাংশ ছাড় চলছে এখানে। পূজার ব্যস্ততা কেমন জানতে চাইলে ঢাকা টাইমেসকে তিনি বলেন, ‘সাধারণত দিনগুলোর মতো কাস্টমার আসছে সার্ভিস দিতে। বরং গত দুই, চারদিন কাস্টমারের চাপ আরও কম।’
শুক্রবার সিদ্ধেশ্বরীতে অবস্থিত সিদ্ধেশ্বরী হেয়ার ড্রেসার অ্যান্ড সুলনের গিয়ে দেখা যায়, চুল ও সেভ করার কাজে ব্যস্ত দুজন নরসুন্দর। দোকানটির মালিক প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘অন্যান্য সময়ের মতোই ব্যস্ততা। ঈদের সময় দোকানে ভিড় লেগে যায়। কিন্তু পূজায় তেমনটা হয় না। এ দেশের হিন্দুদের সংখ্যাটাও তুলনামূলকভাবে অনেক কম। আর হিন্দুরা পূজায় পোশাক কিনে বেশি, সাজসজ্জা কম করে।’
বেইলি সিজার্স এ্যান্ড রেজার্স সেলুনে দেখা যায়, চুল কাটা ছাড়াও ফেসিয়ালে ব্যস্ত দোকানের কয়েকজন কর্মচারী। দোকানের ম্যানেজার সাইফুল ইসলামের কাছে পূজার ব্যস্ততা জানতে চাইলে তিনিও জানান টুকটাক ব্যস্ততা আছে। কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এতবড় একটা উৎসব, সেই তুলনায় লোক একেবারেই কম। তবে যা আসছে এগুলোর মধ্যে আমাদের রেগুলার কাস্টমারই বেশি।’
‘এখন মূলত উৎসবের দিন বা আগের দিন মানুষ আসবে এমনটা এখন হয় না। কোনো অনুষ্ঠানের আগেই এসব কাজ সেরে রাখে। যার কারণে উৎসবগুলোর প্রভাব সেভাবে বিচার করা যায়না। তবে গত সপ্তাহ থেকে ফেসিয়াল, হেয়ার রিবন্ডিং, স্ট্রেট পেডিকিউর মেনিকিউর বা পার্লার জাতীয় কাজের চাপ বেড়েছে।’- বলেন তিনি।
(ঢাকাটাইমস/২০অক্টোবর/এলএম/কেএম)

মন্তব্য করুন