‘ডিপফেক’ ভিডিওর শিকার হয়ে বিরক্ত শচীন টেন্ডুলকার
তারকা খেলোয়াড়দের ‘খ্যাতির বিড়ম্বনা’ তো নতুন কোনো ঘটনা নয়। সঙ্গে জড়িয়ে যায় তাদের পরিবারও। এমনকি নকল প্রযুক্তির ফাঁদে পড়ে যান তারকা খেলোয়াড় ও তাদের পরিবার।এবার ডিপফেকের শিকার হলেন শচীন টেন্ডুলকার। ভুয়া ভিডিও দেখে বিরক্ত তিনি। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে তার ভুয়া ভিডিও। তাকে দেখা যাচ্ছে, একটি অনলাইন গেমিং অ্যাপের হয়ে প্রচার চালাচ্ছেন শচীন।
শচীন মূলত ডিপফেকের শিকার হয়েছেন। এক বেটিং অ্যাপে ভারতীয় কিংবদন্তির নকল কণ্ঠ বসিয়ে বিজ্ঞাপন প্রচার করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে সেই বেটিং অ্যাপে কোনো কথাই বলেননি শচীন। ভারতীয় ব্যাটিং কিংবদন্তি বিজ্ঞাপন দেখার পর সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে ৩০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। সেই ভিডিওতে শচীন প্রযুক্তির যথেচ্ছ অপব্যবহারে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
অপব্যবহার বন্ধ করতে সেই ভিডিওতে ভারতীয় ব্যাটিং কিংবদন্তি বলেন, ‘এই ভিডিওগুলো মিথ্যা। প্রযুক্তির অপব্যবহার দেখে খুবই বিরক্ত। এমন ভিডিও, অ্যাডভার্টাইজ, অ্যাপগুলোকে গণহারে রিপোর্ট করার অনুরোধ করছি। সামাজিকমাধ্যমের প্ল্যাটফর্মগুলোকে আরও বেশি সতর্ক হতে হবে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ ঠিকভাবে নিতে হবে। উল্টোপাল্টা তথ্য ও ডিপফেকের ঘটনা বন্ধ করতে সচেষ্ট হতে হবে।’
প্রযুক্তির সাহায্যে সূক্ষ্মভাবে কোনো ব্যক্তির শরীর বা নকল কণ্ঠ বসিয়ে তৈরি করা ছবি বা ভিডিওকে ডিপফেক কনটেন্ট বলা হয়। এটি ভুয়া কনটেন্টেরই একটি রূপ, তবে মাত্রাগতভাবে অনেকটাই বাস্তবের মতো, সহজে আসল–নকল পার্থক্য করা কঠিন।
এর আগে ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের সময় ডিপফেকের শিকার হয়েছিলেন শচীনের মেয়ে সারা টেন্ডুলকার। ভারতীয় ব্যাটার শুবমান গিলের সঙ্গে তার এক ছবি ভাইরাল হয়। তবে মূল ছবিতে তার সঙ্গে গিল নন, ছিলেন ছোট ভাই অর্জুন টেন্ডুলকার। প্রযুক্তির সহায়তায় এই ডিপফেকটি করেছিলেন কেউ একজন।
(ঢাকাটাইমস/১6 জানুয়ারি/এনবিডব্লিউ)