জার্মানিতে উগ্র ডানপন্থিদের বিরুদ্ধে লাখো মানুষের বিক্ষোভ

জার্মানির বিভিন্ন শহরে উগ্র ডানপন্থি এবং অভিবাসনবিরোধী রাজনৈতিক দল এএফডির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে সপ্তাহান্তে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমেছেন। রোববারেও একাধিক শহরে হয়েছে গণবিক্ষোভ।
জার্মান সঙবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, রাজধানী বার্লিন, কোলন, ড্রেসডেন, লাইপজিশ এবং বনসহ একাধিক জায়গায় রোববার বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে।
এআরডি জানিয়েছে, মিউনিখের পুলিশ বলেছিলো, ২৫ হাজার পর্যন্ত অংশগ্রহণকারী সমাবেশে যোগ দেওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু ভিড়ের কারণে একটা সময় পর বিক্ষোভ সমাবেশ বন্ধ করে দেয়া হয় বলে পুলিশের মুখপাত্র বার্তাসংস্থা ডিপিএকে জানিয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, আনুমানিক ৮০ হাজার অংশগ্রহণকারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়নি বলে তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষের দাবি, প্রায় দুই লাখ মানুষ মিউনিখের মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন। কোলনে প্রায় ১০ হাজার মানুষ বিক্ষোভ মিছিলে পা মিলিয়েছেন।
বার্লিনে সপ্তাহান্তে সক্রিয় প্রতিবাদদেখা গিয়েছে। প্রায় তিন লাখ বিক্ষোভকারী ইতিমধ্যেই শনিবার সারা দেশের শহরগুলিতে জড়ো হন। গণণাধ্যম এআরডি জানায়, বিক্ষোভকারীরা "নাৎসি আউট" এর মতো পোস্টার নিয়ে এসেছিলেন।
বাভারিয়ার দক্ষিণ থেকে উত্তর সর্বত্র বিক্ষোভ হয়েছে। হামবুর্গ শহর এবং পশ্চিমের শহরগুলি যেমন ফ্রাঙ্কফুর্ট থেকে এরফুর্ট পর্যন্ত, পূর্বে সালেতেও (যেখানে এএফডি প্রায় ৩০শতাংশ সমর্থন পেয়েছে।
এমনকি নর্থ সির সিল্ট, যা রাজনৈতিক কেন্দ্র হিসাবে পরিচিত নয়, সেখানেও প্রায় ৬০০ জন অতিডানপন্থিদের বিরুদ্ধে সপ্তাহান্তের বিক্ষোভ অংশ নেয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
সপ্তাহান্তে চরম ঠান্ডা আবহাওয়া সত্ত্বেও হামবুর্গ, ফ্রাঙ্কফুর্ট, হানোফার, কাসেল, ডর্টমুন্ড, ভুপারটাল, কার্লশ্রুহে, নুরেমবার্গ, এরফুর্ট এবং অন্যান্য জার্মান শহরে সবমিলিয়ে শনিবারে আনুমানিক তিন লাখ মানুষ জড়ো হন। তাদের হাতের পোস্টারে লেখা ছিল "ফ্যাসিবাদ বিকল্প নয়।"
সম্প্রতি একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়, যা থেকে জানা গেছে এএফডি সদস্যরা নভেম্বরে উগ্রডানপন্থিদের একটি সভায় যোগ দেন। পটসডামের মিটিংয়ে অংশগ্রহণকারীরা আলোচনা করেছেন। আশ্রয়প্রার্থী এবং অভিবাসীদের প্রত্যাবাসন করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে, এমনকি সমাজে যথেষ্ট একীভূত হননি, এমন কারো জার্মান পাসপোর্ট থাকলেও তাদের প্রত্যাবাসন করা হতে পারে বলে আলোচনায় উঠে এসেছে।
অনুসন্ধানী আউটলেট কারেকটিভের প্রতিবেদন ১০ জানুয়ারি প্রকাশিত হয়। ফলে জার্মানিতে একটি আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, যেখানে মানুষ আতঙ্কিত৷
কোলনেও ফ্যাসিবাদবিরোধী ব়্যালিতে অংশ নেন প্রায় দশ হাজার মানুষকোলনেও ফ্যাসিবাদবিরোধী ব়্যালিতে অংশ নেন প্রায় দশ হাজার মানুষ
জার্মান রাজ্যগুলোতে চলতি বছরের শেষের দিকে আঞ্চলিক নির্বাচন হওয়ার কথা৷ এরই মাঝে পটসডামের বৈঠকে উগ্র ডানপন্থিরা "রিমাইগ্রেশন" শব্দটিব্যবহার করেছে বলে খবর। এটি অভিবাসী এবং সংখ্যালঘুদের বহিষ্কার করা বোঝাতে অতিডানপন্থিরা ব্যবহার করে থাকেন।
সূত্র: ডয়চে ভেলে
(ঢাকাটাইমস/২২জানুয়ারি/এমআর)

মন্তব্য করুন