ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক অস্বীকার

৬৪ জাহাজ নিরাপদে লোহিত সাগর অতিক্রম করেছে: হুতি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ২২ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:২১| আপডেট : ২২ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:৩৫
অ- অ+

ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক অস্বীকার করে একটি ব্যানার উত্থাপনের মাধ্যমে ৬৪টি জাহাজ নিরাপদে লোহিত সাগর অতিক্রম করেছে বলে জানিয়েছে ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতি। খবর আনাদোলুর।

রবিবার হুতি গোষ্ঠীর সদস্য মোহাম্মদ আলী আল-হুতি এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘লোহিত সাগর অতিক্রম করার সময় জাহাজগুলোকে নিরাপদে থাকার সহজ সমাধান হলো, “ইসরায়েলের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই” লেখা একটি ব্যানার প্রদর্শন করা।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই কার্যকর সমাধানটি ব্যবহার করে ইতোমধ্যেই ৬৪টি জাহাজ নিরাপদে সমুদ্র অতিক্রম করতে সক্ষম হয়েছে।’

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসনের পর থেকে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসকে সমর্থন জানিয়ে দুই মাস ধরে লোহিত সাগরে চলাচলরত বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালিয়ে আসছে ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা। এতে লোহিত সাগরের এ রুটে চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে ম্যার্স্ক, সিএমএ সিজিএমসহ বড় বড় শিপিং প্রতিষ্ঠানগুলো।

এরপরই হুতিদের আক্রমণ থেকে লোহিত সাগরের এ সমুদ্র পথকে নিরাপদ রাখতে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, ইতালি, কানাডাসহ ১০টি দেশ নিয়ে সামুদ্রিক জোট গঠন করে যুক্তরাষ্ট্র। নতুন করে আরও ১০টি দেশসহ মোট ২০টি দেশের এ জোট হুতির আক্রমণ ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্রের পাশে থাকার ঘোষণা দেয়। এর মধ্যেই হুতিদের অবস্থান লক্ষ্য করে ইয়েমেনে ৫ দফা সরাসরি বিমান হামলা চালায় ব্রিটিশ ও মার্কিন বাহিনী।

তবে ইরান-সমর্থিত হুতি গোষ্ঠী জানিয়েছে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলা বন্ধ না হলে তাদের এ আক্রমণ অব্যাহত থাকবে।

উল্লেখ্য, এশিয়া থেকে ইউরোপের পথে লোহিত সাগর হলো সবচেয়ে সহজ রাস্তা। লোহিত সাগর থেকে ভূমধ্যসাগর পেরিয়ে সুয়েজ খাল ধরে যায় এই রাস্তা। এই রাস্তা এড়াতে হলে আফ্রিকায় ঢুকতে হবে। আফ্রিকার সেই ঘুরপথেই আপাতত চলাচল করছে অধিকাংশ পণ্যবাহী জাহাজ।

এর ফলে জাহাজগুলোর চলাচলের সময় অন্তত এক সপ্তাহ বেড়ে গেছে। যেতে হচ্ছে অতিরিক্ত সাড়ে ৩ হাজার নটিকাল মাইল। এর ফলে জাহাজ চলাচলের খরচ অনেকটাই বেড়ে যাচ্ছে।

বস্তুত, সুয়েজ খাল দিয়ে বিশ্বের ১২ শতাংশ বাণিজ্য সঞ্চালিত হয়। সেই ব্যস্ত রাস্তা এখন কার্যত খালি।

বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, এই পরিস্থিতি যদি চলতে থাকে, তাহলে আন্তর্জাতিক বাজারে জিনিসের দাম ভয়ংকরভাবে বেড়ে যাবে। সাংহাই থেকে রোটারডাম যদি কেপ অফ গুড হোপ হয়ে যেতে হয়, তাহলে জাহাজের তেলের দামই এক মিলিয়ন ডলার বেশি পড়ে। পণ্য সংস্থাগুলো স্বাভাবিকভাবেই সেই ক্ষতি নিজেদের কাঁধে রাখবে না। তারা পণ্যের ওপর সেই দাম ধার্য করবে। ফলে জিনিসের দাম ইতিমধ্যেই বাড়তে শুরু করেছে।

(ঢাকাটাইমস/২২জানুয়ারি/এমআর)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
সফররত চীনা কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে বিনিয়োগে অনেক আত্মবিশ্বাসী: চীনা বাণিজ্যমন্ত্রী
টাইগারদের চ্যালেঞ্জিং স্কোর, হোয়াইট ওয়াশ এড়াতে বোলিংয়ে তাকিয়ে
এবার নিরবের নায়িকা ইধিকা পাল, প্রকাশ্যে প্রথম কাজ
পাকিস্তানকে ১৯৭ রানের টার্গেট দিল বাংলাদেশ
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা