মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা ফেরানোর আহ্বান রাইসি ও এরদোয়ানের
গাজার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতার লক্ষ্যে পদক্ষেপের ডাক দিয়েছেন ইরানি প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।
বুধবার আঙ্কারায় দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন এই দুই প্রভাবশালী সরকারপ্রধান।
এ সময় গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের ফলে মধ্যপ্রাচ্যের স্থিতিশীলতা নিয়ে চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেন এরদোয়ান ও রাইসি। তাদের মতে, পরিস্থিতির আরো অবনতি এড়াতে পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। তুরস্ক অবিলম্বে অস্ত্রবিরতির দাবি জানিয়েছে। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগের প্রতিও সে দেশের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। পশ্চিমা সহযোগী ও কয়েকটি আরব দেশ হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে গণ্য করলেও তুরস্ক সেই মূল্যায়ন মানে না। এ ক্ষেত্রে বরং ইরানের অবস্থানের সঙ্গে এরদোয়ানের নীতির বেশি মিল রয়েছে।
এমন এক সময়ে এরদোয়ান ও রাইসির বৈঠক হলো, যখন মার্কিন ও ব্রিটিশ বাহিনী ইয়েমেনে ইরানের মদতপুষ্ট হুতি বিদ্রোহীদের উপর হামলা চালাচ্ছে। গোটা অঞ্চলে ইরান ও ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠার স্থাপনার উপর ইসরায়েল হামলা চালিয়ে আসছে।
তবে কড়া সমালোচনা সত্ত্বেও তুরস্ক ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করেনি। সেই সিদ্ধান্ত এবং সিরিয়ায় বাশার আল আসাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহীদের মদতের কারণেও ইরান তুরস্কের সমালোচনা করে এসেছে।
এরদোয়ানের সঙ্গে আলোচনার পরেও রাইসি বলেন, ইসরায়েলের সঙ্গে সব দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করার প্রয়োজন আছে। আর্মেনিয়া ও আজেরবাইজান সংকটের ক্ষেত্রেও দুই দেশের মতপার্থক্য রয়েছে।
বাইডেন প্রশাসন প্রতিশ্রুতি মেনে তুরস্ককে অবিলম্বে লকহিড মার্টিন কোম্পানির এফ-১৬ যুদ্ধবিমান সরবরাহের উদ্যোগ নিচ্ছে। প্রায় ২ হাজার কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের বিমানগুলি তুরস্কের সামরিক ক্ষমতা আরো বাড়িয়ে দেবে।
সূত্র: ডয়চে ভেলে, আল জাজিরা
(ঢাকাটাইমস/২৫জানুয়ারি/এমআর)