গাজায় নিহতের সংখ্যা ২৬ হাজার ছুঁইছুঁই

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলছে। ইতোমধ্যেই নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা প্রায় ২৬ হাজারে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। খবর আনাদোলুর।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় প্রায় ২৪টি গণহত্যা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী, এতে অন্তত ২০০ জন নিহত এবং প্রায় ৩৭০ জন আহত হয়েছে। এ নিয়ে গত ৭ অক্টোবর থেকে হাসপাতালে আনা হয়েছে এমন নিহত ফিলিস্তিনিদের মোট সংখ্যা ২৫ হাজার ৯০০ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৬৪ হাজার ১১০ ফিলিস্তিনি।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, প্রায় ৭ হাজার ফিলিস্তিনি এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। ইসরায়েলের অবিরত বিমান ও স্থল হামলার কারণে অনেক যায়গায় অ্যাম্বুলেন্সগুলো পৌঁছাতে না পারায় এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় অনেক মরদেহ রয়েছে বলেও জানায় গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়টি ইসরায়েলকে জাতিসংঘ পরিচালিত আশ্রয়কেন্দ্রে এবং আল-মাওয়াসি এলাকায় (খান ইউনিসের শহর) গণহত্যামূলক অপরাধের জন্য অভিযুক্ত করেছে, যা এটি নিরাপদ জোন বলে দাবি করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এদিন ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্ত দিয়ে ইসরায়েলে প্রবেশ করে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস যোদ্ধারা। তারপর ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। পরে ২৮ অক্টোবর থেকে অভিযানে যোগ দেয় স্থল বাহিনীও।
প্রায় চার মাস ধরে ইসরায়েলি বর্বরোচিত হামলায় গাজার হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে, যা গত ৭৫ বছরে ফিলিস্তিনিদের জন্য সবচেয়ে মারাত্মক সংঘর্ষ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
মাঝে এক সপ্তাহব্যাপী যুদ্ধবিরতিতে ২৪ বিদেশিসহ মোট ১০৫ জনকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। বিনিময়ে ইসরায়েলি কারাগার থেকে ২৪০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল, যার মধ্যে ৭১ জন মহিলা এবং ১৬৯টি শিশু রয়েছে।
অন্যদিকে হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন ১ হাজার ২০০ জন। পাশাপাশি ইসরায়েল থেকে প্রায় ২৪০ জনকে জিম্মি হিসেবে গাজায় নিয়ে যায় হামাস।
(ঢাকাটাইমস/২৬জানুয়ারি/এমআর)

মন্তব্য করুন