ভারতীয় শিক্ষার্থীদের জন্য বড় ঘোষণা ম্যাক্রোঁর

ভারতে ৭৫তম প্রজাতন্ত্র দিবসে প্রধান অতিথি হিসেবে এসেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। প্রজাতন্ত্র দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে ফ্রান্সে ভারতীয় শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার জন্য বিরাট ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার সকালে এক্স হ্যান্ডেলে মাক্রোঁ লিখেছেন, ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ হাজার ভারতীয় ছাত্র ফ্রান্সে পড়াশোনার সুযোগ পাবেন। একই পোস্টে মাক্রোঁ লিখেছেন, ফ্রান্স এই লক্ষ্যপূরণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রজাতন্ত্র দিবসে মাক্রোঁর এই উপহারে স্বাভাবিকভাবেই খুশি ভারতীয় ছাত্ররা।
প্রসঙ্গত, ২৬ জানুয়ারি ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস। ১৯৫০ সালে এই দিনেই ভারতের সংবিধান গৃহীত হয়েছিল। প্রতি বছরই এই দিনে রাজধানী দিল্লির রাজপথে কুচকাওয়াজ হয়। সেখানে আমন্ত্রণ জানানো হয় পৃথিবীর কোনো দেশের রাষ্ট্রপ্রধানকে। এবার প্রথমে এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে। তবে ডিসেম্বরে হোয়াইট হাউস জানিয়েছিল, পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি থাকায় প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে আসতে পারবেন না বাইডেন। পরে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল ফরাসি প্রেসিডেন্টকে।
এদিকে প্রজাতন্ত্র দিবসের একদিন আগেই ভারতে আসেন মাক্রোঁ। তবে দিল্লির পরিবর্তে, প্যারিস থেকে মাক্রোঁ প্রথম এসে নামেন রাজস্থানে। জয়পুরে আমের দুর্গ ঘুরে দেখেন তিনি। দেখেছেন যন্তর মন্তরও। এরপর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন তিনি। একাধিক বিষয় নিয়ে সেখানে আলোচনা হয়েছে।
এরপরেই শুক্রবার সকালে প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজের অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার আগে এই ঘোষণা করেন মাক্রোঁ।
মাক্রোঁ আরও জানিয়েছেন, আগে ফ্রান্সে উচ্চশিক্ষার জন্য গেলে ফরাসি ভাষা শিখতে হতো। কিন্তু এখন আর তা বাধ্যতামূলক নয়। ফরাসি না জেনেও ফ্রান্সে পড়তে যাওয়া যাবে। উচ্চশিক্ষায় ভারত এবং ফ্রান্স একসঙ্গে আরো অনেক কাজ করবে বলেও নিজের এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়েছেন মাক্রোঁ।
এদিন প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পর ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে ঘোড়ার গাড়িতে চড়ে রাষ্ট্রপতি ভবনে যান মাক্রোঁ। কুচকাওয়াজ চলাকালীন প্রধানমন্ত্রী মোদীর কাছে বেশ কিছু বিষয়ে জানতেও চান তিনি। বছরকয়েক আগে ফ্রান্সের থেকে রাফাল যুদ্ধবিমান নিয়েছে ভারত। এদিনের কুচকাওয়াজে সেই বিমানও অংশ নিয়েছিল। যা দেখে হাততালি দেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট।
এর আগে গত জুলাই মাসে বাস্তিল ডে-র প্যারেডে ফ্রান্স নিমন্ত্রণ জানিয়েছিল নরেন্দ্র মোদীকে। সেখানে গিয়েই প্রজাতন্ত্র দিবসে মাক্রোঁকে আমন্ত্রণ জানিয়ে এসেছিলেন মোদী। বস্তুত, মাসকয়েকের মধ্যেই ভারতে জাতীয় নির্বাচন। তার আগে সম্ভবত এটিই মোদীর সঙ্গে কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিশ্বনেতার শেষ দ্বিপাক্ষিক বৈঠক।
সূত্র: ডয়চে ভেলে
(ঢাকাটাইমস/২৬জানুয়ারি/এমআর)

মন্তব্য করুন