অগ্নিদুর্ঘটনা প্রতিরোধে আইনের প্রয়োগ ও ক্ষতিপূরণ নিয়ে হাইকোর্টের রুল

সম্প্রতি রাজধানীর বেইলি রোডসহ বিভিন্ন জায়গায় আগুনে হতাহতের ঘটনায় আইনের প্রয়োগ এবং ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়ে সরকারের বিভিন্ন সংস্থার প্রতি রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।
অগ্নি প্রতিরোধ ও নির্বাপণ আইন এবং জাতীয় বিল্ডিং কোড কেন সুষ্ঠুভাবে প্রয়োগ করা হবে না; বাণিজ্যিক স্থাপনা ও কারখানায় কেন অগ্নি নিরাপত্তা কক্ষ এবং পৃথক সিঁড়ির ব্যবস্থা করা হবে না; আবাসিক এলাকাতে বাণিজ্যিক স্থাপনা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না— এসব জানতে চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশের ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এবং ঢাকা সিটি করপোরেশন (দক্ষিণ)কে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সোমবার হাইকোর্ট এ রুল জারি করেন।
গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বেইলি রোডসহ সম্প্রতি বিভিন্ন জায়গায় ভয়াবহ আগুনের প্রেক্ষিতে নির্দিষ্ট আইন অনুসরণ এবং প্রয়োগ না হওয়াতে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট), আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী নাজমুস সাকিব জনস্বার্থে একটি মামলা করেন। মামলার শুনানি শেষে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আইনজীবী নাজমুস সাকিবের একজন বোন এই ঘটনায় নিহত হন।
এ ছাড়াও নিহতদের পরিবার এবং আহতদের কেন পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে বাংলাদেশের ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর, রাজউক এবং মো. আনোয়ারুল হক, স্বত্ত্বাধিকারী, চুমুক রেস্টুরেন্ট ও কাচ্চি ভাই রেস্তোরাঁর ব্যবস্থাপনা পরিচালকের প্রতি রুল জারি করেন উচ্চ আদালত।
২০২৩-২৪ সালে কোন কোন ভবন, কারখানা এবং স্থাপনায় আগুনের ঘটনায় কতজন নিহত হয়েছেন এবং কী পরিমাণ ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে এবং এ বিষয়ে তারা কী ব্যবস্থা নিয়েছেন তার তালিকা দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর, রাজউককে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মামলার আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সারা হোসেন, ব্যারিস্টার অনিক আর হক, মোহাম্মদ নাজমুল করিম, ও মো. শাহিনুর জামান। রাষ্ট্রের পক্ষে অংশ নেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ ও আনিস উল মাওয়া।
(ঢাকাটাইমস/০৪মার্চ/কেএম)

মন্তব্য করুন