ল্যাপটপ পেলেন ভৈরবের ৭৫ নারী ফ্রিল্যান্সার

ল্যাপটপ পেলেন কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার ৮০ নবীন নারী ফ্রিল্যান্সার। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের হার পাওয়ার প্রকল্পের অধীনে ছয় মাসের প্রশিক্ষণ শেষে তাদের মাঝে বিনামূল্যে ল্যাপটপ বিতরণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা পরিষদের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে নবীন নারী ফ্রিল্যান্সারদের মাঝে এসব ল্যাপটপ বিতরণ করা হয়।
এসব ল্যাপটপ নারী উদ্যোক্তাদের প্রযুক্তিগত শিক্ষায় দক্ষ করার সঙ্গে তাদের আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন প্রকল্পের কর্মকর্তারা।
তারা জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে তথ্য প্রযুক্তির সর্বোত্তম নিরাপদ ব্যবহার করে দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে নারীদের আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা ও উদ্যোক্তা হিসেবে তাদের টেকসই ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা লক্ষ্যে ভৈরবে ৮০ নারীকে প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হয়েছে। প্রথম ধাপে ৮০ নবীন নারী ফ্রিল্যান্সারের মাঝে ল্যাপটপ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আরো দুটি ধাপে ১৬০ জনকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হবে। তাদেরকেও বিনামূল্যে ল্যাপটপ দেওয়া হবে বলে জানান কর্মকর্তারা।
অনুষ্ঠানে ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) একেএম গোলাম মোর্শেদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন পৌর মেয়র ইফতেখার হোসেন বেনু ও উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মনোয়ারা বেগম।
হার পাওয়ার প্রকল্পের প্রজেক্ট ম্যানেজার রিয়াজুল ইসলাম টিটুর সঞ্চালনায় অন্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন হার পাওয়ার প্রকল্পের সহকারী প্রোগ্রামার মো. রফিকুল ইসলাম, জাহিদ হোসেন, তন্ময় সিকদার প্রমুখ।
এছাড়া বিভিন্ন ইভেন্টের প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে বক্তব্য রাখেন ডিজিটাল মার্কেটিং ব্যাচের প্রশিক্ষণার্থী রোকসানা আক্তার ইমি, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ব্যাচের তাসলিমা আক্তার, গ্রাফিক্স ডিজাইন ব্যাচের মোছাম্মৎ সাজিদা আক্তার ও জান্নাতুল ফেরদৌস প্রীতি ।
প্রশিক্ষণার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস প্রীতি বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের নিয়ে স্বপ্ন দেখেছেন। আমরা সেই স্বপ্নের অংশ হতে পেরেছি। আমাদের স্বপ্ন অনেক বড়। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশের অংশ হয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের অংশ হতে চাই। আমরা ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে বিদেশ থেকে ডলার আয় করতে পারছি। এত বড় প্রকল্পের অংশ হতে পেরে আমরা গর্বিত।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে নারীর দক্ষতা অর্জিত হবে, নতুন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে অর্থাৎ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি পাবে। উপজেলা পর্যায়ে আইসিটি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রশিক্ষণের উদ্যোগের মাধ্যমে প্রযুক্তি খাতে দক্ষ নারী কর্মী ও নারী উদ্যোক্তা তৈরি হবে। এতে নারীর ক্ষমতায়ন হবে এবং প্রযুক্তি খাতে নারী-পুরুষের সমান অংশগ্রহণের মাধ্যমে প্রযুক্তি জগতেরও উন্নয়ন ঘটবে। এছাড়া উপজেলা পর্যায়ের নারীদের প্রশিক্ষণের ফলে সামাজিক সচেতনতা বাড়বে ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ঘটবে। উপজেলায় বসবাসকারী প্রান্তিক ও অপেক্ষাকৃত কম সুবিধাভোগী নারীর কর্মসংস্থানের দ্বারা নারীর টেকসই ক্ষমতায়নের (হার পাওয়ার) একটি ধারাবাহিকতা সৃষ্টি হবে।
(ঢাকাটাইমস/০৭মার্চ/প্রতিনিধি/পিএস)

মন্তব্য করুন