ইরানে হামলার আগে যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্কবার্তা দিয়েছিলো ইসরায়েল: মার্কিন কর্মকর্তা

তিনটি ইসরায়েলি ড্রোন আকাশেই ধ্বংস করে ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা

গত সপ্তাহের ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামলার প্রতিক্রিয়ায় প্রথমবারের মতো ইরানে সরাসরি হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। শুক্রবার ভোরে দেশটির ইসফাহান শহরের ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত করেছে বলে মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক এমন কিছু কর্মকর্তা মার্কিন গণমাধ্যমকে বলেছেন, ইসরায়েল তাদের হামলার পরিকল্পনা সম্পর্কে আগেই যুক্তরাষ্ট্রকে বলেছিল। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র এটিকে সমর্থন করেনি।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি এবং সিএনএন, উভয়ই নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে জানায়, ইসরায়েল ওয়াশিংটনকে আগাম সতর্কতা দিয়েছে।

একজন মার্কিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সিএনএন লিখেছে, ‘আমরা কোনও প্রতিক্রিয়াকে সমর্থন করিনি।’

তবে হোয়াইট হাউস এবং পেন্টাগন এখনও এই হামলার বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি।

যদিও ইরান বলছে, এই ঘটনার সাথে মাত্র কয়েকটি ড্রোন জড়িত ছিল।

ইরনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করে দেশটির একজন কর্মকর্তা বলেছেন, "মার্কিন গণমাধ্যমের খবর সত্য নয়।’

এদিকে ইরানের আধা-সরকারি মেহর নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, ইসফাহানের উত্তর ও পূর্বাঞ্চলে স্থানীয় সময় ভোর ৪টার দিকে তিনটি ড্রোন শনাক্ত করা হয় এবং দেশের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় হওয়ার পরে সেগুলো আকাশেই ধ্বংস করে দেওয়া হয়।

এর আগে ইরানের আধা-সরকারি ফারস নিউজ এজেন্সি জানায়, শুক্রবার ভোরে ইরানের ইসফাহান শহরের উত্তর-পশ্চিমে একটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। শহরের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে বিস্ফোরণটি ঘটেছে। তবে বিস্ফোরণের সম্ভাব্য কারণ সম্পর্কে কোনও ব্যাখ্যা দেয়নি এই নিউজ এজেন্সি।

তবে ইসফাহানের পারমাণবিক স্থাপনা ‘নিরাপদে’ রয়েছে বলে জানিয়েছে ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি। দেশটির রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারকারী আইআরআইবি ‘নির্ভরযোগ্য সূত্র’ উদ্ধৃত করে বলেছে, ইসফাহানের পারমাণবিক স্থাপনা ‘সম্পূর্ণ নিরাপদ’।

প্রসঙ্গত গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে অবস্থিত ইরানি কনস্যুলেটে ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইসরাইল। এতে বিপ্লবী গার্ডের দুই কমান্ডারসহ ৭ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা নিহত হন। প্রতিক্রিয়ায় গত শনিবার গভীর রাতে ইসলামিক বিপ্লব গার্ড কর্পস এবং অন্যান্য সশস্ত্র বাহিনী ইসরায়েল-অধিকৃত অঞ্চলগুলোতে তিন শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন দিয়ে ইরান এই হামলা চালায়। এরপর থেকেই ইরানের হামলার প্রতিক্রিয়া জানানোর পরিবর্তে ইসরায়েলকে সংযমের আহ্বান জানিয়েছে পশ্চিমা দেশগুলো। এমনকি ইরানের বিরুদ্ধে যেকোনো পদক্ষেপে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইহুদিবাদী দেশটির সবচেয়ে বড় মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। তা সত্ত্বেও ইরানে পাল্টা হামলার চালালো ইসরায়েল।

সূত্র: বিবিসি

(ঢাকাটাইমস/১৯এপ্রিল/এমআর)