পুরোনো রূপে ফিরছে লালকুঠি

শেখ শাহরিয়ার হোসেন, জবি
  প্রকাশিত : ০৯ মে ২০২৪, ১৩:৫৪
অ- অ+

ঢাকার ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে ধারণ করে কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে নর্থব্রুক হল বা লালকুঠি। পুরান ঢাকার বুড়িগঙ্গার তীর ঘেঁষে ওয়াইজ ঘাটে চুন-সুরকি ও লাল ইটের গাঁথুনি জানান দিচ্ছে সে সময়ের ঢাকার আভিজাত্য। ঐতিহ্যের বাহক এই ভবনটি পরিচর্যা ও সংস্কারের অভাবে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে চলে গিয়েছিল। লালকুঠিকে আবার আগের রূপে ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

ব্রিটিশ স্থাপত্যশিল্পের এই অনন্য নিদর্শন লাল রঙের কারণে জনসাধারণের কাছে লালকুঠি নামে পরিচিত। এখানেই বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে সংবর্ধনা দেয় ঢাকা পৌরসভা। এমন বহু ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী এ লালকুঠি। লালকুঠির সামনে দখলকৃত অবস্থায় থাকা নদীর অববাহিকা দখলমুক্ত করতে বিআইডব্লিউটিএ-কে নির্দেশ দেয় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন। এ নিয়ে একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, পুরোদমে ভবন সংস্কার চলছে। নতুন রঙের প্রলেপে যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে দেড়শো বছরের পুরোনো লালকুঠির সৌন্দর্য। ভবনের সম্মুখে তৈরি করা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন কৃত্রিম ঝরনা। বিরাট কর্মযজ্ঞের মাধ্যমে সংশ্লিষ্টরা ভবনটির পুরোনো রূপ ফিরিয়ে দিতে কাজ করে চলেছেন। পুরান ঢাকার বাসিন্দা জহির আহমেদ। স্মৃতিচারণ করে তিনি ঢাকা টাইমসকে বলেন, আমরা ছোটবেলায় পাল তোলা নৌকায় চড়ে দেখতাম আহসান মঞ্জিল, লালকুঠি ও রূপলাল হাউসসহ নদীর দুই পাড়ের অপরূপ দৃশ্য। এখন আর তা দেখা যায় না। কারণ সেখানে লঞ্চ টার্মিনাল রয়েছে। পাশাপাশি বহু রাস্তায় হকারসহ নানান স্থাপনা গড়ে উঠেছে। তবে সরকার সংস্কারের যে উদ্যোগ নিচ্ছে তা খুবই ভালো। এটি বাস্তবায়িত হলে ঐতিহ্য রক্ষা হবে। এটা উন্মুক্ত করে দিলে পুরান ঢাকাবাসীর জন্যও অবসর কাটানোর একটা জায়গা তৈরি হবে।

বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা ঢাকা টাইমসকে বলেন, ঢাকার ঐতিহ্যবাহী নর্থব্রুক হল যেন বুড়িগঙ্গা থেকেই দেখা যায় সেজন্য হলের সামনের স্থাপনা সরিয়ে নিতে একটা কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে আমাদের কর্মকর্তারাও আছেন। ওনারা একটা প্রতিবেদন জমা দেবেন, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে নর্থব্রুক হল যেমন ঐতিহ্যের তেমনি সদরঘাটও কম ঐতিহ্যের নয়। এটা আরও পুরোনো এবং এর সঙ্গে সাধারণ মানুষের যাতায়াতের একটা বিষয় আছে।

তিনি আরও বলেন, নর্থব্রুক হল যেন বুড়িগঙ্গা থেকেই দেখা যায় এটাই একটা পয়েন্ট ছিল। আমি নদী থেকে একবার দেখার চেষ্টা করেছিলাম। শীতকালে পানি কম থাকায় দেখা না গেলেও বর্ষার সময় লঞ্চ থেকে দেখতে অসুবিধা হয় না। হলের সামনের জায়গাটা কীভাবে দৃষ্টিনন্দন করা যায় সেটা একটা প্রজেক্টের মাধ্যমে হচ্ছে। আমার মনে হয় খুব দ্রুতই একটা সিদ্ধান্তে আসতে পারবো।

(ঢাকাটাইমস/০৯মে/এমআর)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
এনআরবিসি ব্যাংকের ২০০তম পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত
পঞ্চগড় সদর বিএনপির সম্মেলন: সভাপতি দাউদ, সম্পাদক বাবু
এডিবি-আইএমএফের সহায়তা ছাড়াই বাস্তবসম্মত বাজেট দেওয়া সম্ভব: অর্থ উপদেষ্টা
বগুড়ায় বজ্রপাতে ২ ভাইয়ের মৃত্যু
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা